রোবট! বললেই নিশ্চই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রফেসর শঙ্কুর বিধুশেখরের বর্ণনা? আসলে মানুষ শুরুতে যন্ত্রকে নিজের মতোই আদল দিতে চেয়েছিল। তবে প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে তার কাজ। আর কাজের উপযোগী হয়ে বদলেছে চেহারাও। রোবটকে এখন নানা চেহারায় দেখা যায়। কোথাও কুকুর, কোথাও শিম্পাঞ্জি। কোথাও আবার কোনো জীবত প্রাণীর সঙ্গেই মেলে না চেহারা। কিন্তু তাই বলে মাছ! নিজের মতো করে, নিজের বুদ্ধিতে জলে সাঁতার কেটে বেড়াবে যন্ত্রমাছ! তাও কি সম্ভব? সম্প্রতি সেটাই সম্ভব করে দেখালেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ফ্লোরিয়ান বার্লিংগার।
আসলে জলের মধ্যে যন্ত্রের সমস্ত কাজ নির্বিঘ্নে হবে কিনা, এটাই ছিল চিন্তার বিষয়। তবে সেই চিন্তাকে পিছনে ফেলে এসেছেন ফ্লোরিয়ান। এখন শুধু নতুন এই মাছকে কাজে লাগানোর ভাবনা। ৩-ডি পিন্টিং-এর সাহায্যে তৈরি ইঞ্চি চারেক লম্বা মাছগুলো দিব্যি ভেসে বেড়ায় জলে। এলইডি সিগন্যাল দেখে বুঝতে পারে নিজেদের মধ্যে দূরত্বও। অন্য কোনো প্রাণী এসে পড়লেও আছে বিপদ সংকেতের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে জীবন্ত মাছের থেকে এদের ক্ষমতা কোনো অংশে কম নয়। আর ব্লু-ট্যাং মাছের সঙ্গে মিলিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে ব্লু-বোট।
তবে ঠিক কী কাজে লাগানো হবে এই যান্ত্রিক মাছ, তা নিয়ে নিশ্চিত কোনো ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। যদিও ফ্লোরিয়ান চান এটিকে সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধের কাজেই ব্যবহার করতে। সমুদ্রের অনেক দুর্গম অঞ্চলে, যেখানে মানুষ পৌঁছতে পারে না, সেখানে পৌঁছে তথ্য নিয়ে আসতে পারবে এই যান্ত্রিক মাছ। আবার প্লাস্টিক বা তেল পরিষ্কারের মতো কাজও করানো যাবে। আগামী দিনে তাই অনেক সমস্যার সমাধান নিয়েই হাজির ছোট্ট এই মাছ। রোবো-মাছ।
Powered by Froala Editor