সমাজের বিভিন্ন ব্যবহারে মেয়েরা যে কতটা অবহেলিত তা বোঝা যায় নানা চিহ্নে, সংকেতে এবং প্রতীকে। রাস্তায় চলতে ফিরতে যখনই কোনো মানুষের প্রতীকী অবয়ব চোখে পড়ে তখনই সেটা অবশ্যম্ভাবী হয় পুরুষের ছবি। কেবল নির্দিষ্টভাবে মেয়েদের বোঝাতেই থাকে নারীসুলভ প্রতীক। তবে এবার সেই ব্যবস্থায় বদল আসতে চলেছে। আর তার শুরুটা হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। দাদর থেকে মহিম পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় পেডেস্ট্র্যান্ট সিগন্যালে দেখা যাবে মহিলার অবয়ব। রাস্তার ১৩টি চারমাথার মোড়ে মোট ১২০টি সিগন্যালকে আপাতত এই প্রকল্পের মধ্যে আনা হয়েছে।
এই রাস্তা যেন একই সূত্রে বেঁধেছে সমস্ত ধর্মকেও। সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির থেকে মহিম দরগা পর্যন্ত রাস্তার মাঝে আছে একটি চৈত্য এবং একটি গির্জা। আসলে সবটাই একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের চেষ্টা। মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের স্বপ্নের প্রকল্প এই ‘কালচার স্পাইন’। মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যের সঙ্গে একটা সাংস্কৃতিক আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটাতেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। আর তার শুরুটাই হচ্ছে পিতৃতন্ত্রকে আঘাত করে।
মন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ইউরোপের নানা দেশেই এভাবে লিঙ্গসাম্যের ভাবনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এবার ভারতেও শুরু হল এমন উদ্যোগ। গত শনিবার থেকেই মহারাষ্ট্রের রাস্তায় এই উদ্যোগ দিয়ে যে শুরু, আগামীতে তাই হয়তো সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে যাবে।
Powered by Froala Editor