বাতাসে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিদ্যুৎনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারের উদ্যোগ সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত স্তরে অনেকেই জ্বালানি তেলনির্ভর যানবাহন ত্যাগ করে বিদ্যুৎনির্ভর যানবাহন বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু কর্মসূত্রে যাঁদের সবসময় শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয়, এবার তাঁদের হাত দিয়েই এক পরিবর্তনের সূচনা ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু ডাকবিভাগের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরের জেপি নগর সাব-পোস্ট অফিসের ১৫ জন কর্মীর হাতে সম্প্রতি তুলে দেওয়া হল ইলেক্ট্রিক স্কুটার। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রিন ডেলিভারি’ (Green Delivery) সারা দেশে এমন উদ্যোগ এই প্রথম।
গত বছরই কলকাতার নিউটাউন অঞ্চলে এক পোস্টম্যান নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিনেছিলেন ইলেক্ট্রিক স্কুটার। সেই উদাহরণের কথা মাথায় রেখেই এবার বড়ো উদ্যোগ নিল বেঙ্গালুরু ডাকবিভাগ। গত ১৪ অক্টোবর জেপি নগরের মোট ১৫ জন পোস্টম্যান এবং পোস্টওম্যানকে এই ইলেক্ট্রিক স্কুটার দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরু বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল এলকে দাস জানিয়েছেন, আপাতত একটি পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবেই শুরু হচ্ছে এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনা সফল হলে দেশের অন্যান্য পোস্ট অফিসেও একই প্রক্রিয়া নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অক্টোবরের শুরুতেই ইয়ুলু কোম্পানির সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি হয় বেঙ্গালুরু ডাকবিভাগের। প্রতিটি স্কুটার বিশেষ নীল রঙে চিহ্নিত, যাতে তাদের সহজে চিহ্নিত করা যায়। এখনও পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে। মোটামুটি এক মাস পর্যবেক্ষণের পর মোট খরচের হিসাব করা হবে। আর তাতে যদি দেখা যায় পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি বিষয়টি অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়কর, তাহলে তো সবদিক থেকেই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। এখনও পর্যন্ত প্রতিদিন কাজের শেষে ইয়ুলু কোম্পানির গ্যারেজে গাড়ি রেখে আসতে হয় চার্জের জন্য। তবে ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে স্কুটারগুলি কাজে লাগানো হলে পোস্ট অফিসেই চার্জিং পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে ইয়ুলু কোম্পানি। আপাতত মাসখানেকের রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে আছেন কর্তারা।
আরও পড়ুন
অপরিণত শিশুমৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা, ঘাতক কয়লাজনিত দূষণ
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রাস্তার মধ্যেই ধোঁয়া পরীক্ষা, দূষণ নিয়ন্ত্রণে পথে নামছে কলকাতা পুলিশ