নবদ্বীপ ও কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম হেরিটেজ শহরের মর্যাদা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। দুই শহরের ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য, সৌধ, মন্দির, মসজিদ ও এলাকাগুলি চিহ্নিত করে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
হেরিটেজ চিহ্নিত স্থানগুলিতে দেওয়াল লিখন ও হোর্ডিং লাগানোর কাজের ওপর এবং এইসব সম্পত্তি সংস্কার, বিক্রি, লিজে দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হেরিটেজ কমিশন নবদ্বীপের ৮৬টি ও কোচবিহারের ১৫৫টি সৌধকে চিহ্নিত করেছে। যদিও সব সৌধগুলি দুই পুরসভার মধ্যে অবস্থিত নয়।
খড়গপুর আইআইটি ও শিবপুর আইআইইএসটি-র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ-বিষয়ে কারো কোনোরকম অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা জেলা পরিষদে জানাতে হবে।
নবদ্বীপের তালিকায় চৈতন্যদেবের জন্মভিটে, বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্মভিটে, নৃসিংহদেবের মন্দির, বল্লাল ঢিবি, চাঁদ কাজির সমাধি, বামনপুকুর বড় মসজিদের পাশাপাশি ইসকন মন্দিরও ঠাঁই পেয়েছে। তাই হেরিটেজ শহরের পরিধি বাড়ছে।
কোচবিহারের ১৫৫টি চিহ্নিত স্থানের মধ্যে রাখা হয়েছে রেলস্টেশনকেও। সঙ্গে আছে ৩৮টি দিঘিও। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্দির মসজিদে হোর্ডিং বা দেওয়াল লিখন বন্ধ করা গেলেও রেলস্টেশন তা বন্ধ করা যাবে কিনা এই নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। এ-বিষয়ে হেরিটেজ কমিশনের সচিব বলেছেন, ‘কেউই কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করতে পারে না। যদি স্টেশনে আয়ের স্বার্থে হোর্ডিং বসাতেই হয়, তখন পুরসভার মাধ্যমে জেলা হেরিটেজ কমিটির কাছে আবেদন জানাতে হবে।’