৩ডি প্রিন্টিং-এর সাহায্যে বাড়ি তৈরি মেক্সিকোতে, বিশ্বে প্রথম

মেক্সিকোর সমুদ্র উপকূলের ছোট একটি শহর তাবাস্কো। কখনও বন্যা তো কখনও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এখানকার মানুষের ঘরবাড়ি। আর সেইসব আশ্রয়হীন মানুষের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে 'নিউ স্টোরি'। আর এই কাজে তাদের পাশে এসে দাঁড়াল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ৩ডি প্রিন্টিং। এর ফলে খরচ ও সময় দুইই বাঁচছে, জানাচ্ছেন সংস্থার সদস্যরা। প্রথমবার এই প্রযুক্তির সাহায্যে বাসগৃহ তৈরি করলেন তাঁরা। এর আগে কিছু অফিসবাড়ি তৈরি হয়েছে ঠিকই, তবে ৩ডি প্রিন্টিং-এর সাহায্যে বসতবাড়ি নির্মাণ এই প্রথম।

আরও পড়ুন
প্রতিমুহূর্তে ভাঙছে-গড়ছে অজস্র কাঠামো, ধরা পড়ল সূর্যপৃষ্ঠের ছবি

ইতিমধ্যে দুটি করে শয়নকক্ষযুক্ত দুখানি ঘর বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। প্রতিটা ঘরের আয়তন ৫০০ বর্গফুট। আর প্রতিটা ঘর বানাতে সময় লেগেছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এমনকি এই ঘর আদৌ পছন্দ হল কিনা, সেকথা জানতে আবাসিকদের জন্য আছে ফিডব্যাক ফর্ম। ভিটেমাটি হারিয়ে যেসব মানুষ প্রবল দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতেন, তাঁদের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা তো বটেই, সারা ইউরোপে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন
সালোকসংশ্লেষ করবে কংক্রিটও, নতুন ‘প্রাণ’-এর সৃষ্টি ইঞ্জিনিয়ারের

'নিউ স্টোরি'র জন্য ৩ডি প্রিন্টিং-এর উপযোগী বিশেষ রোবোটিক তৈরি করে দিয়েছে কারিগরি সংস্থা 'আইকন'। আর দুর্গত মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছে সামাজিক সংগঠন 'ইচেল'। এর আগে সাধারণ নির্মাণ পদ্ধতিতে ২৭০০ ঘর বানিয়েছে 'নিউ স্টোরি'। নতুন প্রযুক্তিতে যে সেই কাজ আরও সহজে ও দ্রুত হবে, সে-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। খুব তাড়াতাড়ি ৫০টি ঘর বানানোর লক্ষমাত্রা নিয়েছে তারা। আর তাঁদের কাজের দিকে তাকিয়ে আছেন মেক্সিকোর সাধারণ মানুষও। শুধু মেক্সিকো কেন, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের মনেই কি এই খবর একটা বাড়তি উৎসাহ জাগায় না?

Latest News See More