এবার আগুন কঙ্গো ও অ্যাঙ্গোলায়, জ্বলছে পৃথিবীর 'দ্বিতীয় ফুসফুস'

ক্রমশ কমে আসছে গোটা বিশ্বের জঙ্গল। ব্রাজিলের অ্যামাজনের আগুন নিয়ে যখন সারা বিশ্ব তোলপাড়, প্রেসিডেন্ট বলসোনারো প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে, তখনই নাসার কাছ থেকে এল আরও এক ভয়ংকর খবর।

নাসার উদ্বিগ্নতার কারণ আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলা ও কঙ্গোর বিশাল পরিমাণ জঙ্গল পুড়ে যাওয়া। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির ‘ফায়ার ইনফরমেশন ফর রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ জানিয়েছে, অ্যাঙ্গোলায় কমপক্ষে ৬ হাজার ৯০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে কঙ্গো জ্বলছে ৩ হাজার ৩৯৫টি অগ্নিকাণ্ডে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে কঙ্গো ও অ্যাঙ্গোলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাজিলের চেয়েও ভয়াল আগুন দাপট দেখিয়েছে। অন্তত ৬,৯০২ বার জঙ্গল পুড়ে গেছে বলে ধারণা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, এই ক্ষয়ক্ষতি খুব অস্বাভাবিক নয়।

নাসার মতে, গত বছরের জুন মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে ৬৭,০০০ বার আগুন ধরেছে এই জঙ্গলগুলিতে।

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মী ও দূত টোসি এমপানু বলেছেন, ‘আফ্রিকা আর ব্রাজিলের আগুন একই কারণে তৈরি হয়নি। আমাজনে হয়তো খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এই অবস্থা। তবে মধ্য আফ্রিকা জ্বলছে মূলত ভ্রান্ত কৃষি পদ্ধতির কারণে।'

কঙ্গোয় জঙ্গল পরিষ্কারের জন্য ঝুম পদ্ধতিতে চাষ হয়। দেশটির মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পান। তাই বেশির ভাগ মানুষ কাঠ জ্বালিয়ে রান্নাবান্না ও অন্য কাজ করেন। সেখানে অরণ্য-নিধন চলছে ব্যাপক হারে। এমনকি খনিজ ও তৈল উৎপাদনের জেরেও ক্ষতি হচ্ছে।

গোটা বিশ্বের পরিবেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তাবড় রাজনীতিবিদরা এই নিয়ে আদৌ কতটা ভাবছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। উন্নয়ন ও শিল্পের স্বার্থে পরিবেশ নিয়ে একটুও ভাবিত নন রক্ষাকর্তারা। একাংশ মনে করেন, এখন হয়ত এসব নিয়ে ভাবার জন্য সত্যিই অনেক দেরি হয়ে গেছে।

ছবি ঋণ - zerohedge.com

Latest News See More