ফেলে দেওয়া খাবারেই পেট ভরছে শতাধিক শিশুর

রাস্তার ধারে ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের খিদের জ্বালায় ভিক্ষে করতে দেখে প্রায় সবারই কষ্ট হয়। নিজের সাধ্যের মধ্যে সাহায্য করতে সবাই চেষ্টা করে, কিন্তু সবাই মিলে সংগঠন বানিয়ে সাহায্য করতে খুব কম মানুষকেই দেখা গেছে। এরকম বাচ্চাদের সাহায্য করতেই পথে নেমেছেন দিল্লির অঙ্কিত কাওয়াত্রা।

ফেলে দেওয়া খাবারের পরিমাণ এবং না খেতে পাওয়া বাচ্চাদের কষ্ট দেখে, ‘ফিডিং ইন্ডিয়া’ সংস্থাটি খোলেন অঙ্কিত। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের প্রতিনিধির সাহায্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফেলে দেওয়া খাবার সংগ্রহ করে ফিডিং ইন্ডিয়া। মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী ডোমেস্টিক এয়ারপোর্ট এবং ব্যাঙ্গালোরের  কেম্পেগৌডা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট সঙ্গেও কাজ করছেন তাঁরা। এয়ারপোর্টের একদিনের খাবার পরেরদিন ক্রেতাদের দেওয়া যায় না। এই খাবারগুলো এতদিন নষ্টই হত। এখন ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের পেটে যায়। এক প্যাকেটে আনুমানিক তিন জনের পেট ভরে যায়, সুতরাং কুড়িটা প্যাকেটেই ১০০ জন খুশি। খাবারের গুণমান পরীক্ষার পর, কোথাও এনজিও-র সাহায্যে খাবার পৌঁছে যায়, কোথাও আবার সরকারি স্কুলে মিড-ডে মিল হিসেবে ব্যবহৃত হয় খাবারগুলি।

ভারতের ১৯৫ মিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষ যদি এরকম অপচয়-হওয়া খাবারের যোগান পান, তাহলে সামগ্রিকভাবে দেশেরই উন্নতি হবে, এ-ব্যাপারে সংশয় আছে কি?