মহামারী করোনা পরিস্থিতি আমাদের আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছে, জীবনে ইন্টারনেটের উপর কতটা নির্ভরশীল হয়ে উঠেছি। এই একাকিত্বের জীবনে সেটুকুই বেঁচে থাকার অবকাশ। কিন্তু এর মধ্যেই যদি কোনো কারণে ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায় বা ডিসকানেক্ট হয়ে যায়? ভাবলেও যেন আতঙ্ক গ্রাস করে। তবে একথা ঠিক, অনেক উন্নত দেশের থেকেই ভারতে ইন্টারনেটের স্পিড অনেক কম। কিন্তু এর মধ্যেই যে নতুন ইন্টারনেট টেকনোলজির সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা, তার জুড়ি কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। এই টেকনোলজির সাহায্যে একটি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের যাবতীয় ভিডিও ডাউনলোড করতেও সময় লাগবে মাত্র কয়েক সেকেন্ড।
অবাক হচ্ছেন নিশ্চই! অবাক হওয়ারই কথা। এই টেকনোলজির সাহায্যে এক সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবাইট ডেটা ডাউনলোড করতে পারবেন। অর্থাৎ সহজ হিসাবে ডাউনলোড স্পিড ১৭৮ হাজার জিবিপিএস-এর থেকেও বেশি। হ্যাঁ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল ইঞ্জিনিয়ার এমনই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। এতে মাত্র ১ সেকেন্ডেই ডাউনলোড করা যাবে নেটফ্লিক্সের সমস্ত কন্টেন্ট। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ৪৪.২ টিবিপিএস স্পিডের ইন্টারনেট প্রযুক্তিই ছিল পৃথিবীর মধ্যে দ্রুততম। তবে এই নতুন প্রযুক্তিতে সেই স্পিড প্রায় চারগুণ বেশি।
গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ড. লিডিয়া গালডিনো জানিয়েছেন এই ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য আলাদা ব্র্যান্ডউইডথ প্রয়োজন। সাধারণত ইংল্যান্ডে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট পরিষেবায় ৪.৫ টেরা-হার্ৎজ অথবা ৯ টেরা-হার্ৎজ ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ১৬.৮ টেরা-হার্ৎজ ব্যান্ডউইডথ প্রয়োজন। তবে এর জন্য খরচ যে খুব বেশি, তাও কিন্তু নয়। বরং নতুন ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়ার থেকে অনেক কম খরচেই পুরনো কানেকশনকে আপগ্রেড করে নেওয়া সম্ভব। তবে এই প্রযুক্তি যে আমাদের দেশে চালু হতে ঢের দেরি, সেকথা বলাই বাহুল্য। তাই আমাদের এখনও প্রস্তুত থাকতে হবে, যেকোনো সময় ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তখন সমস্ত জগৎ বা ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চার দেয়ালের মধ্যেই পৃথিবীকে সাজিয়ে নিতে হবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বন্ধ হতে চলেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, ব্রাউসিং-এর ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায়ে ইতি