আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে চাষের জমি। নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। ঝড়ের সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কৃষকদের ঘুম কেড়ে নিল নতুন আতঙ্ক। আশঙ্কা, হয়তো বাংলায় ঢুকে পড়ল পঙ্গপালের দল। ঝাড়গ্রামের একটি গ্রামে দেখা মিলল পঙ্গপাল জাতীয় পতঙ্গের। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কৃষকমহলে।
সাঁকরাইল ব্লকের একটি গ্রামের রাতারাতি শাকসব্জির ক্ষেতে আদা, লাউ, কুমড়ো গাছের দফারফা হয়ে যায়। কৃষকরা অনেকে প্রত্যক্ষও করেছেন এই পতঙ্গকে। দাবি করেছেন পঙ্গপাল বলেই। বাঁকুড়ার লাখাশোল শালবনেও রবিবার বিকালে দেখা যায় পঙ্গপাল। শালগাছের পাতা খাওয়ার সেই দৃশ্যও অনেকে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। তবে সরকারি আধিকারিকরা এখনো মানতে নারাজ যে, রাজ্যে প্রবেশ করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মানস রঞ্জন প্রধান জানিয়েছেন অনেক ধরণের কীট-পতঙ্গই জমিতে থাকে। এরাও ফসল নষ্ট করে। অনেক সময় তাদের পঙ্গপাল মনে করে ভুল করা হয়। তিনি আশ্বস্ত করেছেন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন বলে। পতঙ্গ-বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া এবং পরিবেশ প্রতিকূল হওয়ায় পঙ্গপালের আসার সম্ভাবনা কম।
একদিনে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের খাবার শেষ করে দিতে পারে পঙ্গপালের এক একটি দল। ইতিমধ্যেই দেশের পাঁচ রাজ্যে পঙ্গপালের হানায় চাষের দফারফা হয়েছে। এবার কি সেই তালিকায় যুক্ত হবে পশ্চিমবঙ্গের নামও? আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তারই। এসবের মধ্যেই আশার কথা, ধান কাটা হয়ে গেছে রাজ্যের ওই সব অঞ্চলে। তবে অন্যান্য সব্জির চাষ চলছে ক্ষেতগুলিতে। কৃষকদের অনুমান সত্যি হলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে কৃষিতে। দেখা দিতে পারে খাদ্যসংকটও। তেমনই অশনি সংকেত দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার ঘটনা।
Powered by Froala Editor