Powered by Froala Editor
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাটে ত্রাতা টুইটার; রসিকতায় মাতলেন নেটিজেনরা
১/১২
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৯টা। গতকাল হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। সমস্যা দেখা যায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামেও। আর এই সংকটকালে হঠাৎই যেন ত্রাতা হয়ে উঠল টুইটার।
২/১২
ইন্টারনেট বিভ্রাটের সময় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপকেও দেখা গেল টুইটারের দ্বারস্থ হতে। ব্যবহারকারীদের কাছে বিভ্রাটের খবর টুইটারের মাধ্যমেই পৌঁছে দিয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক।
৩/১২
দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকার পর আজ রাত ৩টে নাগাদ ফের চালু হয় ফেসবুক পরিষেবা। তারও ঘণ্টা খানেক বাদে পরিষেবা ফেরে হোয়াটসঅ্যাপে। মাত্র এই কয়েক ঘণ্টার বিভ্রাটেই ক্ষোভ উগড়ে দেন অসংখ্য ব্যবহারকারী। শুধুমাত্র ‘ডাউনডিটেক্টর ডট কম’ ওয়েবসাইটেই জমা পড়েছিল প্রায় ২৭ হাজার অভিযোগ।
৪/১২
আর এর ঠিক বিপরীত ঘটনা লক্ষ করা গেল টুইটারে। ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং-এর ডেটা অনুযায়ী, মধ্যবর্তী এই সময়টাতে লাফিয়ে বেড়েছিল টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা। স্বাভাবিকের থেকে প্রায় কয়েকগুণ ট্রাফিক ছিল টুইটারে।
৫/১২
টুইটারে সেইসময় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে অজস্র মিম। ট্রোলের শিকার হয় ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ। রেলস্টেশনে পরিযায়ীদের শ্রমিকদের ভিড়কে কোথাও দেখানো হলে টুইটারে গণ-আগমন হিসাবে। আবার কোথাও, ফেসবুকের সমাধির সামনে হাসি মুখে দেখা গেল টুইটারকে।
৬/১২
বাদ যাননি স্বয়ং জুকেরবার্গও। ভাইরাল হল, প্লায়ার্স এবং অন্যান্য যন্ত্র নিয়ে জুকেরবার্গের বৈদ্যুতিক তার সারানোর ছবি। থুড়ি মিম। এমনকি টুইটার কর্তৃপক্ষও মজা করে টুইট করে, ‘হেলো লিটারালি এভরিওয়ান’।
৭/১২
কিন্তু এই বিভ্রাটের কারণ কী? আদতে মার্ক জুকেরবার্গের মালিকানাধীন এই তিনটি অ্যাপেই ব্যবহার করা হয় একই পরিকাঠামো। আর সেখানেই বিপত্তি বাঁধে গতকাল রাতে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডোমেন নেম সিস্টেম বা ডিএনএস-এর সমস্যাই বিভ্রাটে ফেলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্টকে।
৮/১২
সেইসঙ্গে বর্ডার গেটওয়ে-তেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলত, হোস্টনেম বা ইউআরএল-এর অবস্থান চিহ্নিত করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে প্রোগ্রামিং-এ। অন্ধকার নেমে আসে গোটা পরিষেবায়।
৯/১২
যদিও এসব অনুমানমাত্র। অনেকে আবার অভিযোগ তুলছেন সুরক্ষা নিয়েও। ধারণা, বড়োসড় কোনো সাইবার অ্যাটাকের শিকার হয়েছিল ফেসবুক। তবে এখনও পর্যন্ত বিভ্রাটের আসল কারণ প্রকাশ্যে আনেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
১০/১২
২০০৪ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল ফেসবুকের। তারপর ক্রমশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কটি। কিন্তু ১৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত বড়ো বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হল ফেসবুককে।
১১/১২
পরিষেবা চালু হওয়ার পর ফেসবুকে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মার্ক জুকেরবার্গ। তিনি স্বয়ং দীর্ঘতম বিভ্রাট বলে অভিহিত করেছেন এই ইন্টারনেট বিপর্যয়কে। পাশাপাশি অনুরোধ করেছেন তাঁদের প্রতি আস্থা না হারাতেও।
১২/১২
এই বিভ্রাটের পর ব্যবহারকারীর সংখ্যায় আদৌ কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা তা জানা নেই। বড়োসড় আর্থিক ধাক্কা এড়াতে পারল না ফেসবুক। মাত্র সাত ঘণ্টার জন্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার লোকসান হল জুকেরবার্গের। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এক লহমায় বেশ কয়েক ধাপ পিছিয়েও গেলেন তিনি।