প্রায় হাজার বছরের পুরনো একটা মুখ। মুখ তো নয়, আসলে একটা খুলি। কেমন ছিলেন তিনি? সেই প্রশ্নেরই উত্তর পেলেন গবেষকরা। নরওয়ের অসলো ভাইকিং মিউজিয়ামে থাকা একটা খুলির পেছনের চেহারাটা আদতে কেমন ছিল, সেটাই নতুন করে তৈরি করলেন তাঁরা। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত ঐতিহাসিকরা।
তবে বাস্তবে নয়, কম্পিউটারে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই ছবি। নরওয়ের সোলরের এক কবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এই খুলিটি। দীর্ঘ গবেষণায় এটা বোঝা যায় যে, আসল মানুষটি একজন মহিলা ছিলেন। প্রায় হাজার বছর আগে বেঁচেছিলেন ইনি। তবে সাধারণ কেউ নয়, তিনি ছিলেন একজন ভাইকিং। অর্থাৎ যোদ্ধা। খুলিতে হালকা দাগ পাওয়া গেলেও, কী করে মারা গেছিলেন এই মহিলা ভাইকিং, সেটা জানা যায়নি এতদিন।
অবশেষে অত্যাধুনিক ফেস রেকগনিশন টেকনোলজির সাহায্যে খুলির পেছনের মানুষটার একটা ছবি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর কপালের মাঝখানে একটা গভীর ক্ষত। অনুমান, যুদ্ধক্ষেত্রে মাথায় তরোয়ালের আঘাত লেগে এই ক্ষত তৈরি হয়েছে। আর এটাই মৃত্যুর কারণ। পুরাতত্ত্ববিদরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলা ভাইকিংয়ের মৃত্যুর এটাই প্রথম প্রামাণ্য জিনিস।