২০১৯ এর বিশ্বকাপে সেই দেশকে খেলতে দেখা যায়নি। তবে ’৮৩-র বিশ্বকাপ থেকে প্রায় সবকটি বিশ্বকাপেই লড়াই করেছিল জিম্বাবোয়ে। ২০০৫-২০০৯ সালে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে এসে ঠেকেছিল। এমনকি দেশ ছেড়েছিলেন বেশ কিছু ক্রিকেটার সহ বহু সাধারণ মানুষ। অর্থাভাব ছিল চূড়ান্ত। তার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর ক্রমাগত চেষ্টা করে গেছে জিম্বাবোয়ে। আর জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটের কথা উঠলে, সেরা স্পিনারদের মধ্যে অবশ্যই নাম উঠে আসে রে প্রাইসের। খেলা ছেড়েছেন প্রায় ৭ বছর হল। কিন্তু কেমন আছেন তিনি? কীই বা করছেন?
শূন্য দশকের রজনৈতিক বিপর্যয় পেরিয়ে উঠতে অনেকটাই সময় লেগেছিল আফ্রিকার দেশগুলির। জিম্বাবোয়ের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হওয়ার পরেও মিটল না আর্থিক অনটন। যার শিকার হয়েছিলেন রে প্রাইসও। ২০১১-তে শেষ খেলেছিলেন আইপিএল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবোয়েকে সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেনি কোনো বড় স্পনসর। কাজেই সেখানে অর্থাগমের পথ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে উঠেছিল। শেষমেশ ২০১৩ সালে খেলা ছেড়ে এসি সারানোর মেকানিকের ভূমিকা নিলেন বিখ্যাত এই বাঁহাতি স্পিনার।
তবে খেলা ছেড়ে যাননি একেবারে। খেলার সরঞ্জাম বিক্রির একটি ছোট্ট দোকান রয়েছে তাঁর। কিন্তু কতটাই বা তার বিক্রি? একরকম ক্রিকেটের নেশাতেই চলছে এই ব্যবসা। বন্ধ করেননি তিনি। তাঁর আর্থিক দুরাবস্থার ব্যাপারে জানেন অনেকেই। কিন্তু ইদানীং খোঁজ নেন না কেউ-ই। তাঁর নিজের গলাতেও সেই আক্ষেপের সুর ভেসে আসে। আসবে নাই বা কেন? টেস্ট, ওয়ান-ডে এবং টি-২০ তে যথাক্রমে ১০০, ৮০ এবং ১৩টি উইকেট শিকার করেছেন প্রাইস। এমনকি সচিনকেও তিনবার আউট করেছিলেন তিনি। দেশের জন্য, খেলাকে ভালবেসে পরিশ্রম করে গেছেন ক্রমাগত। কিন্তু খেলা কি তাঁকে প্রতিদান দিতে পেরেছে কিছু? যেন ভাগ্যের পরিহাস।
Powered by Froala Editor