২০২০ সালে ২৪ জানুয়ারি, চিন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল ইউরোপের বুকেও। ফ্রান্স থেকে একে একে গোটা ইউরোপ জুড়ে ধরা পড়ল করোনা সংক্রমণ। সেইসব অভিশপ্ত সময় পেরিয়ে এখন ইউরোপের অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। এমনকি দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারী আক্রমণ করলেও পরিসংখ্যান খুব বেশি আতঙ্ক জাগাচ্ছে না। কিন্তু বিগত ২০২০ সালের পরিসংখ্যান সত্যিই আশ্চর্য করে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান প্রকাশিত হল। আর তাতে দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে সারা ইউরোপে কোভিডে মৃতের সংখ্যাটা ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ আঞ্চলিক সেক্রেটারি ডঃ হান্স ক্লুগ জানান, যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ভাইরাস এখনও ইউরোপ ছেড়ে যায়নি। তাই প্রতিটা মুহূর্তে সচেতন থাকতেই হবে। তবে এই বিষয়ে ইউরোপের প্রশাসনিক ব্যবস্থার যথেষ্ট প্রশংসা করেন তিনি। সমস্ত দেশ যেভাবে মিলিতভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে, তার থেকে অন্যান্য উপমহাদেশীয় ইউনিয়নগুলির শিক্ষা নেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
চিনের পর করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়। এরপরেই ছিল ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকো। তবে ইউরোপের দেশগুলিও খুব পিছিয়ে ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যানেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত প্রথম চারটি দেশে মোট ১৩ লক্ষের কিছু বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এই চার দেশের জনসংখ্যার তুলনায় ইউরোপের মোট জনসংখ্যা যথেষ্ট কম। তবে সেখানেও মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে উপযুক্ত জনসচেতনতা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানিয়েছেন ডঃ ক্লুগ। এই বিষয়ে ব্রিটেনের সফল ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় তরঙ্গের সংক্রমণে ভারত, আমেরিকা এমনকি ব্রাজিল প্রতিটি দেশ আবারও সংকটের মুখোমুখি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইউরোপের দেশগুলিকে অন্তত নিরাপদ বলা যায়।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনাবিধি না-মানায় শাস্তি, নিজের প্রশাসনকেই জরিমানা দিলেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী