সংস্কারের অভাবে কম ঐতিহ্য হারায়নি। আমাদেরই গাফিলতিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাক্ষী থাকতে পারবে না অতীত নিদর্শনের। এমনকি, হয়তো দেখতে পাবে না তাদের স্থানীয় ঐতিহ্যটুকুও। যেমন বীরপাড়ার ইউরোপিয়ান ক্লাব।
১৯২০-১৯২৫এর মধ্যে তৈরি হয় এই ক্লাব। তখন এর নাম ছিল দলগাঁও ক্লাব। মূলত চা বাগানের ম্যানেজার ও উচ্চ পদাধিকারীরাই ছিলেন এই ক্লাবের সদস্য। ক্লাবের সামনে মাঠে চুটিয়ে গলফ খেলতেন দলমোর চা বাগানের ম্যানেজার টাউড, গ্যারগন্ডা চা বাগানের ম্যানেজার ডি মাক্লিউড, ডব্লিউ জে ফার্গুসনের মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
স্বাধীনতার পর কিছু বছর এই ক্লাবের সংস্কৃতি বজায় ছিল। তখনও ক্লাবে আসতেন কিছু কিছু সাহেব। এরপর ক্লাবগুলির মালিকানা ভারতীয়দের হাতে দেওয়া হয়। সময়ের স্রোতে এরপর আস্তে আস্তে ক্লাবগুলিতে অচলাবস্থা শুরু হয়। অযত্নে বেড়ে ওঠে মাঠের ঘাস। শার্সি ভাঙা জানলা দিয়ে দেখা যায়, ক্লাবের ভিতরের আসবাবে জমেছে ধুলোর আস্তরণ। স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী, ক্লাব চত্বর এখন অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র। কিছুই কি করা যায় না?