ব্যাটারি কারখানার দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই, ১১ বছর পর জয় কেনিয়ার পরিবেশ কর্মীর

সময়টা ২০০৯ সাল। ব্যাটারি রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রির নবনিযুক্ত কর্মচারী ফিলিস অমিডো তখন সবাইকে বোঝাতে শুরু করেছেন, এই একটি কারখানা আশেপাশের মানূষের কত ক্ষতি করছে। এমনকি কারখানার বিষাক্ত গ্যাস কর্মচারীদের শরীরের উপরেও প্রভাব ফেলে। কিন্তু তখন তাঁর কথায় সাড়া দেননি কেউই। তবে ১১ বছরে একদিনের জন্যও হাল ছাড়েননি মিস অমিডো। আর অবশেষে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল কেনিয়ার আদালত। ব্যাটারি কারখানার দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্যও পরামর্শ দিল আদালত।

আসলে ২০১১ সালে এক কর্মচারীর ছোট্ট সন্তানের মৃত্যুর পরেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ডাক্তার জানান, বাচ্চাটির শরীরে ঢুকেছে বিষাক্ত ধাতু। আর তার পর বহু প্রচেষ্টার পরেও তার প্রাণ বাঁচানো যায়নি। ব্যাটারির কারখানা যে মানুষের সামনে কত বড় বিপদ ডেকে আনছে, সেটা এক লহমায় পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যাটারি কারখানার অনুন্নত প্রযুক্তির বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। এমনকি ২০১২ সালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মিস অমিডো। কিন্তু তার পরেও লড়াই চলেছে। আর ২০১৪ সাল থেকে সারা পৃথিবীতে পরিবেশ-আন্দোলনের যে নতুন জোয়ার আসে, তার প্রভাব পড়ে কেনিয়াতেও।

এর মধ্যেই সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ১২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল কেনিয়া আদালত। আর সেই ক্ষতিপূরণ প্রদানের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে মিস অমিডোর উপরেই। তবে এই ব্যাপারে তেমন আশাবাদী নন ফিলিস অমিডো। বিশেষত ইতিপূর্বে নানা সময়ে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যাপারে বেশ অনীহা দেখা গিয়েছে কেনিয়া সরকারের। তাছাড়া মানুষের শরীরে যে ক্ষতি ঘটেছে, চিকিৎসাতেই কি তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব? তাই সামনে আবারও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফিলিস অমিডো।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
২০১৯-এ খুন হয়েছেন ২১২ জন পরিবেশকর্মী, আন্তর্জাতিক এনজিও-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

Latest News See More