চাষের ক্ষেতে মেটাল ডিটেক্টর হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন দুজন মানুষ। মাটির নিচে কোথাও কোনো ধাতুর খনি লুকিয়ে আছে কিনা, তাই খোঁজেন তাঁরা। একজনের নাম স্যু ওয়াশিংটন আর অন্যজন মিক ওয়াশিংটন। ইতিমধ্যে তাঁরা সোনা এবং জিঙ্কের খনি খুঁজে পেয়েছেন এভাবেই। এবারেও হঠাৎ যেন শব্দ করে উঠল মেটাল ডিটেক্টর। মাটির নিচে যেন কিছু একটা আছে। কিন্তু মাটি খুঁড়ে যা পাওয়া গেল তা সোনা বা জিঙ্কের খনি নয়। মাটির নিচে পাওয়া গেল একটি আস্ত ইতিহাসের খনি। মধ্যযুগের ইংল্যান্ডের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। ইংল্যান্ডের ওয়ারলর্ডদের ইতিহাস।
অ্যাংলো-স্যাক্সন জনজাতির মানুষদের নিয়ে একাদশ শতক নাগাদ গড়ে উঠেছিল এই বাহিনী। ইংল্যান্ডের সামরিক বাহিনী হলেও ইউরোপের অন্যান্য দেশেও যুদ্ধ করতে দেখা যেত তাঁদের। আর তাই এমন নামকরণ। তবে ইতিহাসে এই বাহিনীর সম্বন্ধে খুব কম তথ্যই জানা যায়। স্যু ও মিক যখন মাটির নিচে একটি সমাধিক্ষেত্র খুঁজে পেলেন, তখনই বুঝেছিলেন ইতিহাসের কোনো এক অজানা অধ্যায়ের চাদর খুলে ফেলেছেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দিলেন রিডিং ইউনিভার্সিটিতে। সেটা ২০১৮ সাল। আর তারপর থেকে টানা ২ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
এখনও কোনো গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়নি। তবে মাসখানেক আগে পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই সমাধিক্ষেত্র যে ওয়ারলর্ড বাহিনীর সেনাদের সমাধি, সে-বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এতদিন এই বাহিনীর যাবতীয় ইতিহাস পাওয়া গিয়েছে টেমস নদীর উচ্চ উপত্যকায়। এই প্রথম মধ্য-টেমস উপত্যকায় বাহিনীর ইতিহাসের নমুনা পাওয়া গেল। তাই সামগ্রিকভাবে বাহিনীর কার্যকলাপ জানতে এই আবিষ্কার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ইংরেজ সেনানীর মৃত্যুস্থল খুঁজতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নমুনা উদ্ধার মণিপুরে