ইতিহাসে এই প্রথম, জিন ক্লোনিং-এ জন্ম নিল অবলুপ্তপ্রায় ব্ল্যাক ফুটেড ফেরেট

মার্কিন প্রদেশের গবেষণাগারে এই প্রথম প্রাণ পেল কোনো ব্ল্যাক ফুটেড ফেরেট। বহুবছর আগের মৃত এই প্রজাতির প্রাণীর হিমায়িত কোষ ব্যবহারে গবেষকরা তৈরি করলেন ক্লোন। বর্তমানে আবলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকাতেই রয়েছে ব্ল্যাক ফুটেড ফেরেট। তবে পুনরায় তাদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগে এখন ভরসা যোগাচ্ছে প্রযুক্তিই।

শুধুমাত্র উত্তর আমেরিকাতেই স্বাভাবিক বসবাস ছিল এই প্রজাতির। সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় পাঁচ দশক আগে চিরকালের মতো বিলুপ্ত হয়ে যায় ব্ল্যাক ফুটেড ফেরেট। তবে ১৯৮১ ওয়াইমিং র্যা ঞ্চার নামে এক মার্কিন ব্যক্তি আবিষ্কার করেন, তাঁর আবাদি জমিতে অল্প সংখ্যক এই ফেরেট জীবিত রয়েছে। তৎক্ষণাৎ বন্যপ্রাণ দপ্তরে খবর পাঠিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। আর তাঁর সৌজন্যেই হয়তো এখনও টিকে রয়েছে এই প্রজাতির অস্তিত্ব।

মার্কিন ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের আধিকারিকেরা সংরক্ষণের জন্য সেসময় বন্দি করেছিলেন ফেরেটগুলিকে। নেওয়া হয়েছিল ক্যাপটিভ ব্রিডিং বা বন্দি প্রজননের কর্মসূচি। তবে তাতে লাভ হয়নি খুব একটা। বিগতও চার দশকে জন্মেছে মাত্র ৭টি ফেরেট। সেইসঙ্গে বন্দি অবস্থায় প্রজননের জন্য প্রভাবিত হয়েছে জেনেটিক বৈচিত্রও।

আশির দশকের শেষ দিকে সংরক্ষিত ফেরেটগুলির মধ্যেই ‘উইলা’ নামের একটি ফেরেট মারা হয়। তবে ফেলে দেওয়া হয়নি তার মৃতদেহ। তা সংরক্ষণ করা হয়েছিল সানদিয়াগোর গ্লোবাল ফ্রোজেন জু-তে। সম্প্রতি মার্কিন গবেষকদের এই উদ্যোগে ব্যবহৃত হয়েছে ‘উইলা’-র দেহকোষ। 

আরও পড়ুন
মেরু-পরিবর্তনের কারণেই বিলুপ্ত বহু প্রজাতি, জানাচ্ছে গবেষণা

গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের গবেষণারে জন্ম নেয় ‘উইলা’-র ক্লোন এলিজাবেথ অ্যান। মাস দুয়েক পেরিয়ে এখন সে বেশ সুস্থই রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। পুরো প্রকল্পটি সঞ্চালিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কনসার্ভেশন গ্রুপ এবং একটি বেসরকারি পোষ্য ক্লোনিং সংস্থা ভায়াগেন-এর মারফত। প্রথমবার চেষ্টাতেই গবেষকদের এই সাফল্য আশা যোগাচ্ছে পুনরায় ব্ল্যাক ফুটেড ফেরেটের জনসংখ্যা বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যেই আগামী মাসে আবার নতুন ক্লোনিংয়ের কর্মসূচি নিতে চলেছেন মার্কিন গবেষকরা…

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
‘মিনি কাজিরাঙা’-র জলাশয়ে ভিড় জমায় ৫৮ প্রজাতির পাখি, জানাচ্ছে সমীক্ষা