এ যেন অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। নদীর বালি-পাথরের হিসাব রাখে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। নদী বাঁধ ও সেচের হিসাব রাখে সেচ দপ্তর। নদীর দূষণের দেখভাল করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আবার নদীতে মাছ চাষের হিসাব রাখে মৎস্য দপ্তর। পরিবেশপ্রেমীদের মতে, একাধিক দপ্তর থাকার জন্য রাজ্যে নদীগুলির অবস্থা আজ বেহাল। এর পরিবর্তে কেবল একটি দপ্তর থাকলে নদী লোপাটের ঘটনা ঘটত না।
জবরদখলের জন্য দক্ষিণবঙ্গের ২৬টি নদী লোপাট হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গের হারিয়ে যাওয়া নদীর সংখ্যা জানা না থাকলেও, সারা রাজ্যে দূষিত হয়েছে মোট ১৭টি নদী। এই তালিকায় আছে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, মহানন্দা, কালিজানি ও করলা।
এদিকে শুধু নদী লোপাটই নয়, নদীর আশপাশের বিভিন্ন গাছপালাও কেটে ফেলা হচ্ছে। যথেষ্ট প্রচার চালালেও সচেতন হয়নি মানুষ। এখনও প্রায় ৫০,০০০ মানুষ প্রতিদিন নদীতেই প্রাতঃকৃত্য সারেন। শিলিগুড়ির অধিকাংশ নিকাশি নালার বর্জ্য পড়ে মহানদীতে। ফলে মহানদীর জল পানের উপযোগীও নেই আর।
নীল নদ হোক, টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস কিংবা ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা, সভ্যতার আঁতুড়ঘর নদী। সেই নদীকেই শেষ করতে উদ্যত সভ্যতার সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ!