আজও সমাজের অন্যতম সমস্যা লিঙ্গবৈষম্য। আর তার জেরেই শিক্ষায় অনেকাংশে পিছিয়ে মেয়েরা। তবে নারীশিক্ষায় জোর দিলে ভোল পাল্টে যাবে সমাজের, অর্থনীতির। সম্প্রতি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং সিটি’স গ্লোবাল ইনসাইট, এই দুই সংস্থার রিপোর্টে উঠে এল তেমনই তথ্য।
গবেষণায় জানানো হয় নারী শিক্ষায় ব্যয়ের যা পরিমাণ, তার দ্বিগুণ অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয় একজন ছাত্রীর কাছে। সেই অর্থ তাঁর পরিবারকে স্বচ্ছল করে তোলে তো বটেই। পাশাপাশি তা যুক্ত হয় দেশের অর্থনীতিতে। বাড়ায় দেশের মাথা পিছু গড় আয় বা জিডিপি। এই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত মেয়েদের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে, আগামী দশকের মধ্যেই কোনো দেশের জিডিপি বাড়তে পারে ১০ শতাংশ।
জাতিসংঘের রিপোর্টে কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল মহামারীর কারণে ১৩ কোটির বেশি ছাত্রীরা সুযোগ হারিয়েছে পড়াশোনার। যার মধ্যে ১.১ কোটির কাছে এর পরেও আর স্কুলের মুখ দেখার সুযোগ থাকবে না। প্রত্যেক দেশেরই প্রশাসনকে নজর দিতে হবে সেদিকেই। তাছাড়াও অধিকাংশ পরিবারেই শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় পুত্র সন্তানই। নারীশিক্ষার প্রতিবন্ধকতা হিসাবে রয়েছে দারিদ্র্য, বাল্যবিবাহ, সহিংসতার মতো সামাজিক সমস্যাও। এসব সমস্যার ঊর্ধ্বে গিয়ে নারীশিক্ষায় জোর দেওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে জাতিসংঘ এবং ওই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টও। বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক চিত্রই তাহলে পাল্টে যাবে একেবারে। কিন্তু কতটা বাস্তবায়িত করতে পারবে ভারতের মতো দেশ? তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
লকডাউনে শিক্ষা দিতে ‘ব্যর্থ’ সরকারি স্কুলগুলি, বন্ধের মুখে বেসরকারি স্কুলও - এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা