দীর্ঘ প্রতিযোগিতার পর এখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের মোট বাণিজ্যিক লেনদেনের বেশিরভাগটাই হয় তাঁর কোম্পানিকে ঘিরে। তিনি সবার পরিচিত ইলন মাস্ক। তবে আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো নতুন একটি শব্দেরও জন্ম দিতে চলেছেন তিনি। মিলিয়নেয়ার বা বিলিয়নেয়ারের পর এবার ট্রিলিয়নেয়ার (Trillionaire) নামে নতুন একটি শব্দর সঙ্গেও পরিচিত হতে চলেছেন মানুষ। আর পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। সম্প্রতি এমন ভবিষ্যদ্বাণীই করেছে আমেরিকার অর্থনীতি বিষয়ক সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি ফাউন্ডেশন।
১৯১৬ সালে আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির মালিক জন রকফেলারকে পৃথিবীর প্রথম বিলিয়নেয়ার হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, মুদ্রাষ্ফীতির হিসাব কষলে এখনও তিনিই বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তবে খুব তাড়াতাড়ি ইলন মাস্ক সেই গণ্ডি পেরিয়ে যাবেন বলেই মনে করছেন মর্গ্যান স্ট্যানলি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষক অ্যাডাম জোনস। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে অবশ্যই মূল ভূমিকা রাখবে তাঁর মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্স। ২০০২ সালে এই সংস্থা তৈরি করেন ইলন মাস্ক। আর তারপর মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের ধারণাই ক্রমশ বদলে গিয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইলন মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৪১ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমাজনের প্রাক্তন কর্ণধার জেফ বেজোস সেখানে ৪২ বিলিয়ন ডলারে পিছিয়ে রয়েছেন। তবে ইলনের এই সম্পত্তির বেশিরভাগটাই এসেছে গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টেসলার লভ্যাংশ থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত এই কোম্পানির কর্ণধার ইলন। সংস্থার ৪৮ শতাংশ লভ্যাংশের মালিকও তিনি। বরং স্পেস-এক্স এখনও তেমন লাভজনক সংস্থা হয়ে ওঠেনি। তবে এতদিনের পরীক্ষানিরীক্ষার পর এবার মহাকাশে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে চলেছে স্পেস-এক্স। সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ পর্যটনের সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে। তবে পরিকাঠামোর দিক থেকে সবাইকে টেক্কা দিতে পারে স্পেস-এক্স। সম্প্রতি শোনা গিয়েছে স্পেস-এক্স মহাকাশে বোয়িং বিমান চালানোর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ফলে নতুন এই ব্যবসাকে ঘিরে এখন সর্বস্তরে উত্তেজনা তুঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত অ্যাডাম জোনসের ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয় কিনা, সেটাই দেখার।
Powered by Froala Editor