টাইম পত্রিকার ‘বর্ষসেরা ব্যক্তি’ এলন মাস্ক

অটোমোবাইল ক্ষেত্র থেকে শুরু করে মহাকাশ অভিযান— সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন টেসলা এবং স্পেসএক্স কর্ণধার এলন মাস্ক (Elon Musk)। যাঁর হাতের তালুতে বন্দি স্টক মার্কেটের পরিচলনও। এবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবেরের মুকুটে চড়ল নতুন পালক। চলতি বছরে বিশ্বের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসাবে মাস্ককেই বেছে নিল ‘টাইম’ পত্রিকা (Time Magazine)। গতকাল টাইম পত্রিকার ইউটিউব চ্যানেল এবং টুইটারে ঘোষণা করা হয় এই খবর। 

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের পাশাপাশি সমাজের পরিকাঠামো বদলে ফেলতেও একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছেন এলন মাস্ক। শুধু পৃথিবী নয়, বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর প্রভাব। আর সেই কারণেই তাঁকে ‘পারস অফ দ্য ইয়ার’ হিসাবে বেছে নিয়েছে ‘টাইম’ পত্রিকা। এই দাবি খোদ ‘টাইম’ পত্রিকার এডিটর-ইন-চিফ এডওয়ার্ড ফেলসেনথালের। 

প্রায় দু’দশক আগে, ২০০২ সালে ‘স্পেসএক্স’ মহাকাশ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাস্ক। তবে সাম্প্রতিক কৃতিত্বের শিখরে পৌঁছায় এই সংস্থা। চলতি বছরে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবার অসামরিক মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাশূন্যে অভিযান করে নজির তৈরি করে ‘স্পেসএক্স’। যে তালিকায় ছিল ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা ছোট্ট শিশুও। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মহাকাশভ্রমণের প্রশিক্ষণের জন্যও বড়ো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন মাস্ক। ১০০ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গল গ্রহে অভিযানের পরিকল্পনাও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর সংস্থা নির্মাণ করছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ‘স্টারশিপ’। সব মিলিয়ে গোটা পৃথিবীকে যেন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মাস্ক। 

অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি তাঁর। তাঁর করা একাধিক টুইট নিয়ে সরগরম হয়েছে মিডিয়া। তাঁর করা দুটি টুইট শেয়ারহোল্ডারদের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে ওয়ালস্টিট জার্নাল। উঠেছে জালিয়াতির অভিযোগও। 

আরও পড়ুন
ক্ষুধা নিবারণে ৬ বিলিয়ন ডলার, প্রতিশ্রুতি রাখবেন এলন মাস্ক?

কিন্তু এত কিছুর পরেও আয়ের নিরিখে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থান ধরে রেখেছেন মাস্ক। গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রেখেছে তাঁর বর্ণময় চরিত্র। সেই চারিত্রিক বৈচিত্র এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে অস্বীকার করা যায় কীভাবে? 

আরও পড়ুন
পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হতে পারেন ইলন মাস্ক, সৌজন্যে স্পেস-এক্স

১৯২৭ সালে ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব প্রদান শুরু করেছিল টাইম পত্রিকা। ভালো-মন্দ উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে মঞ্চস্থ করাই এই খেতাবের অন্যতম উদ্দেশ্য। হিটলারের মতো ব্যক্তিত্বকেও যেমন এই খেতাব দিয়ে সমালোচনা করেছিল ‘টাইম’, তেমনই প্রশংসিত হয়েছিল অ্যাথলিটস্টার সিমোনে বাইলস। গত বছর জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের যৌথ সম্মাননার পর এবার এই তালিকায় যুক্ত হল প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ-কাণ্ডারির নাম…

আরও পড়ুন
টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ‘কিড অফ দ্য ইয়ার’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতাঞ্জলি

Powered by Froala Editor

Latest News See More