বনে-জঙ্গলে বেড়াতে গেলে, হাতির পিঠে চড়ে ভ্রমণ অনেকেরই প্রিয়। শুধু অরণ্যেই বা কেন, অনেক শহরেও হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর বিলাসিতা দেখান অনেকেই। তেমনই এক শহর ভারতের ‘পিঙ্ক সিটি’, অর্থাৎ রাজস্থানের জয়পুর।
জয়পুরের অম্বর ফোর্টে হাতির পিঠে চেপে সাফারি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। রং-বেরঙের পোশাক পরানো হাতির পিঠে চেপে দুর্গের অলিগলি ঘুরে রাজকীয় অনুভূতি হারাতে চান না অনেকেই। কিন্তু বছরের পর বছর এই ‘সার্ভিস’ দিয়ে চলেছে যে হাতিগুলি, তাদের অবস্থা ঠিক কীরকম?
পর্যটকদের আগ্রহে ভাটা পড়েনি কোনোদিনই। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একদল হাতিচালক ওরফে মাহুত হাতির অযত্ন করতে পিছপা হয় না। খেতে না দেওয়া, কম ঘুম, অত্যধিক পরিশ্রম এসব তো আছেই, তার সঙ্গে আছে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন অত্যাচারও। ফলে, চর্মরোগ, দুর্বলতা সহ হাতিদের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। বয়সের কারণেও অশক্ত হয়ে পড়ছে অনেক হাতি।
হাতিগুলির জন্ম মূলত আসামে। বিক্রি করা হয় বিহারের শোনপুর মেলায়। সেখান থেকে রাজস্থানের ‘হাতি গাঁও’ নামের এক গ্রামে এনে, ট্রেনিং দিয়ে বাধ্য ও অনুগত করা হয় হাতিগুলিকে। এবং সেই পদ্ধতি খুব মানবিক যে নয়, তা বলাই বাহুল্য।
ওয়ার্ল্ড অ্যানিমাল প্রটেকশন নামক এক এনজিও রাজস্থানের সরকারের সঙ্গে মিলে হাতিগুলিকে দুরাবস্থার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে অনেকটাই। এখন লক্ষ্য একটাই, ট্যুরিজমের ক্ষতি না করে হাতিগুলিকে রেহাই দেওয়া। সর্বোপরি, অরণ্যের জীবন আবার ফিরিয়ে দেওয়া তাদের।