কয়েকদিন আগেই কেরালায় মারা গেছে এক হাতি। ভারত তো বটেই, গোটা বিশ্বে নানা সময় হাতিমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। কখনও দুর্ঘটনা, কখনও চোরাশিকার— জীবন সংকটে পড়েছে গজরাজদের। সম্প্রতি আরও একটি হাতিমৃত্যুর ঘটনা জায়গা করে নিল খবরের শিরোনামে। এবারে অকুস্থল থাইল্যান্ড।
সম্প্রতি দক্ষিণ থাইল্যান্ডে একটি আমবাগানের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় একটি হাতির। যখন স্থানীয় বন দফতরের কর্মী ও রেঞ্জাররা সেখানে পৌঁছন, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, খাবারের খোঁজেই বন থেকে এইদিকে চলে এসেছিল হাতিটি। তখনই তারে আটকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। তবে হাতিটি একাই ছিল, না একটা দল এসেছিল সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন বনকর্মীরা।
সমস্ত ব্যাপারটায় আঙুল উঠছে আমবাগানের মালিকদের ওপর। এভাবে বাগানের চারিদিকে বৈদ্যুতিক তার লাগানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁদের। তবে মালিকদের বক্তব্য, তার লাগালেও ওই সময় জেনারেটর বন্ধ থাকার কথা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে থাইল্যান্ডের পুলিশ-প্রশাসন। এখন অপেক্ষা কেবল ময়নাতদন্তের রিপোর্টের।
তবে এসবের থেকেও বড়ো ঘটনা হিসেবে উঠে আসছে মানুষের কার্যকলাপ নিয়ে। থাইল্যান্ডের এই হাতিমৃত্যু কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। গোটা বিশ্বে আমাদের বিভিন্ন কাজের খেসারত দিতে হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের। কখনও আমাদের অত্যাচার, কখনও জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা হচ্ছে নানা জিনিস। যখন কোনো বন্যপ্রাণী সেখানে ঢুকে পড়লে হয় প্রাণ যাচ্ছে, নয়তো আহত হচ্ছে। কেরালা, থাইল্যান্ডের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বিশ্বেই।
আরও পড়ুন
কেরালার মৃত হাতিটিকে শুঁড় দিয়ে স্পর্শ দুটি কুনকী হাতির, প্রকাশ্যে এল হৃদয়বিদারক দৃশ্য
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সরকারের মদত থেকে অনিচ্ছাকৃত ‘খুন’ – মানুষের দোষে বারবার প্রাণ হারিয়েছে নিরীহ হাতিরা