বাঙালির রসনা মিষ্টিতে গিয়েই তৃপ্ত হয়। তবে এই ভোটের বাজারে যদি তার মধ্যেও একটু নতুনত্ব আসে, তাহলে ব্যাপারটা মন্দ হবে না। ধরুন, মিষ্টির সঙ্গেই আপনি ‘খেয়ে ফেললেন’ কোনো দলের নেতা অথবা নেত্রীকে! এমনটা নয় নাকি? আশ্চর্য হলেও, হচ্ছে। উত্তর কলকাতার হরি ঘোষ স্ট্রিটে গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন সেই মিষ্টি। ক্রেতাদের ভোটের জন্য বিশেষভাবে মিষ্টিমুখ করাতে অপেক্ষায় আছে ১৩০ বছরের পুরনো ননী ঘোষের মিষ্টির দোকান।
‘আসলে ক্রেতাদের অনুরোধেই এমন একটা পরিকল্পনা মাথায় আসে। আগের কোনো ভোটের মরশুমে এরকম মিষ্টি তৈরি হয়নি। এবছরই প্রথম।’ জানালেন দোকানের বর্তমান কর্ণধার তাপস ঘোষ। ৬ মার্চ থেকে দোকানে এই মিষ্টি বানানো শুরু হয়েছে। তাপস ঘোষ জানালেন, কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি। ‘সাধারণ সন্দেশের উপরেই রাংতার মতো একটি জিনিস দেওয়া হয়। আর তার মধ্যেই আঁকা থাকে নেতা-নেত্রী অথবা দলীয় চিহ্নের ছবি।’ প্রথম দুদিনে ব্যবসাও হয়েছে ভালোই। ‘এমনকি কেউ কেউ তো দু-তিনরকম দলের চিহ্ন আঁকা মিষ্টি একসঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।’ হাসতে হাসতে বলছিলেন তাপসবাবু।
এই ননী ঘোষের দোকানেই পেয়ে যাবেন আরও একটি আশ্চর্য মিষ্টি। এই ২০২১ সালেও যার দাম মাত্র ১ টাকা। মনোরঞ্জন নামের এই মিষ্টি সম্পর্কে তাপসবাবু বললেন, ‘দোকানের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই আজও ভর্তুকি দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে এই ১ টাকা দামের মিষ্টি।’ তবে ভোটের মিষ্টির চাহিদা যেমন হবে ভেবেছিলেন, ততটা এখনও হচ্ছে না। অবশ্য প্রচার ক্রমশ জোরদার হলেই নানা দল থেকে অর্ডার পাবেন বলে আশা করছেন তাপসবাবু। কেউ কেউ ইতিমধ্যে কথা বলেও রেখেছেন। তবে এই মিষ্টি কিন্তু ১ টাকায় মিলবে না। একটি সন্দেশের দাম পঁচিশ টাকা। ভোটের বাজার একটু তো গরম হবেই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কলকাতার বুকে, মাত্র দশ টাকার কবরেই শুয়ে আওয়াধের এই নবাব