নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় নির্বাচনের পর ডিসেম্বরেই প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন সেনেটের ফলাফল। পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন জো বাইডেন। তবে এরপর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জটিলতা কাটেনি। গণনায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউস অচল করে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। সেই চেষ্টা সফল না হলেও অ্যারিজোনা স্টেটের ফলাফল নিয়ে জটিলতার মীমাংসা এখনও হয়নি। আর এর ফলে ফল প্রকাশের ৬ মাস পরে শুরু হল পুণর্গণনা।
মার্কিন সেনেটের ইতিহাসে কোনোদিন অ্যারিজোনা প্রদেশে রিপাবলিক পার্টির প্রার্থীরা পরাজিত হননি। এবারেও সমানে সমানে টক্কর চলেছে ট্রাম্প এবং বাইডেনের। তবে শেষ পর্যন্ত অ্যারিজোনা স্টেটেও জয়ী হয়েছেন বাইডেন। আর এই ফলাফলকে কিছুতেই মেনে নিতে রাজি নন ট্রাম্প সমর্থকরা। সেনেটে দফায় দফায় আলোচনার পর অবশেষে পুণর্গণনার বিষয়ে সকলেই স্বীকৃত হয়েছেন। আর তার পরেই শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সেই কাজ।
তবে বিরাট একটি স্টেটের অন্তত ২ লক্ষ নির্বাচকের ব্যালট খতিয়ে দেখার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, তার কিছুই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের মতে, পুণর্গণনা মানে তো শুধু একের পর এক ব্যালট খুলে দেখা নয়। তার সঠিক ডেটাবেস তৈরি করা প্রয়োজন। অথচ সেইসব কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই ব্যালট বাক্সগুলি খুলে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আদৌ কি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই ব্যবস্থা? নাকি কেবলমাত্র দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মীমাংসা হতে চলেছে?
একই অভিযোগ উঠছে আমেরিকার কিছু সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও। বাইডেনের জয়ের পর থেকেই কিছু সংবাদমাধ্যম নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছেন। মূলত এর পিছনে রিপাবলিকান পার্টির হাত আছে বলেই মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। আর অ্যারিজোনা স্টেটে পুণর্গণনাকে ঘিরে যে প্রচার শুরু হয়েছে, তাতে এই ধারণাই আরও বদ্ধমূল হয়ে উঠছে। তাঁদের মতে, বাইডেন নিজেই যেন তাঁর পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে সামগ্রিক ব্যবস্থা নিয়ে খুশি নন ভোটাররাই। পুণর্গণনা যদি করতেই হয়, তাহলে তা সমস্ত নিয়ম মেনেই হোক। এমনটাই চাইছেন অ্যারিজোনার মানুষ।
আরও পড়ুন
ট্রাম্প-জমানায় ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব চরমে, কাঠগড়ায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট
Powered by Froala Editor