মহামারীর মধ্যেই গাইডলাইন মেনে হবে নির্বাচন, কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছুঁতে চলেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫৬ হাজার। এই সংক্রমণের আবহেই এবার ভারতে বাজল ভোটের দামামা। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠিক কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে, তার জানা নেই। কারণ, এখনও সংক্রমণের শিখরে পৌঁছায়নি ভারত। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই চলতি বছরের শেষে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে বলে জানাল ইলেকশন কমিশন। প্রকাশ করল ১২ পাতার দীর্ঘ গাইডলাইন।

নির্দেশিকায় কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, কোভিড-১৯ এর গাইডলাইন মেনেই ভোট দিতে যেতে হবে সাধারণকে। বাধ্যতামূলক করা হল মাস্ক এবং গ্লাভস। গ্লাভস না পরলে গ্রহণযোগ্য হবে না ভোটাধিকার। পাশাপাশি জানানো হয়েছে একসঙ্গে ভোটকেন্দ্র প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন সর্বাধিক ৫ জন। লাইনে দাঁড়াতে পারবেন সর্বাধিক হাজার জন নাগরিক। প্রত্যেককেই পর পর দু’বার যেতে হবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে। কোনোক্ষেত্রে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি উষ্ণতা থাকলে, তাঁকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুনরায় তাঁকে ভোট দিতে আসতে হবে সবশেষে।

প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মী এবং দলীয় কর্মীদের জন্য পিপিই কিট, স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে কোভিডের গাইডলাইন। ফলে নির্বাচনী প্রচার এবং জনসভার ক্ষেত্রে খানিকটা আপোস করতে হবে পদপ্রার্থীদের।

তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ছাড়া অন্যান্য দলের শীর্ষনেতারাই আবেদন করেছেন ভোট পেছানোর জন্য। এই পরিস্থিতিতে কতটা ‘ফ্রি এন্ড ফেয়ার’ নির্বাচন হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ভোটকেন্দ্রগুলিই সংক্রমণের এপিসেন্টার হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। শুধুমাত্র বিহার নয়, বছর পেরোলেই উড়িষ্যা, বাংলা-সহ আরও ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। জল্পনা দানা বাঁধছে এই রাজ্যগুলিতেও...

আরও পড়ুন
পতঙ্গ শ্রেণী থেকে স্তন্যপায়ী, সমাজ চালাতে অনেক প্রাণীই বেছে নিয়েছে ভোটদানের পদ্ধতি

Powered by Froala Editor