শরীরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বয়সের ছাপ। ভাঁজ পড়েছে গালের চামড়ায়। ঝুলে পড়েছে কাঁধ। পাক ধরেছে চুলেও। এডিথ মুরওয়ে ট্রায়না। বয়স ছুঁয়েছে একশোর গণ্ডি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এই শতায়ু ‘তরুণী’-র কাণ্ডকারখানা দেখলে বিশ্বাস হওয়াই দায়। বয়সকে হার মানিয়েই দিব্যি ভারোত্তলনের ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এডিথ। এবার এই অবিশ্বাস্য কীর্তির জন্যই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডে নাম তুললেন তিনি। স্বীকৃতি পেলেন প্রবীণতম পেশাদার ভারোত্তলকের।
আশ্চর্যের বিষয়, আশৈশব খেলাধুলোর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগই ছিল না এডিথের। বরং তিনি ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী। পরবর্তীকালে নাচের শিক্ষকতাও করেছেন দীর্ঘদিন। ওয়েট লিফটিং বা ভারোত্তলনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নব্বই বছরের কোঠায় এসে। বন্ধু কারমেন গাটওর্থের সঙ্গে নিছক শরীরচর্চার জন্যই জিমে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বয়স তখন ৯১ বছর। তারপর ধীরে ধীরে ভারোত্তলনের সঙ্গে তাঁর গড়ে ওঠে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। প্রথমে সমস্যা হলেও, পরবর্তীতে তা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন এডিথ।
বৃদ্ধাবস্থাতেও এহেন কঠিন ক্রীড়ামাধ্যমে ফুল ফোটানোর জন্য, বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন এডিথ। একাধিক প্রতিযোগিতায় বিজেতার পুরস্কারও রয়েছে তাঁর পকেটে। বর্তমানে সর্বোচ্চ ৬০ কেজি ভারোত্তলন করতে পারেন এডিথ। তবে চলতি সপ্তাহে ১০০ বছরে পা দেওয়ার পরেও থেমে যেতে চান না তিনি। বরং, নিজের ক্ষমতাকে আরও খানিকটা শান দিয়ে আরও বেশি ওজন তুললে ইচ্ছুক ফ্লোরিডার বিস্ময় ‘তরুণী’। পাশাপাশি আরও বেশি পেশাদার ভারোত্তলন প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এডিথ এখন রীতিমতো সেনসেশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মের কাছে। বয়স কেবল সংখ্যামাত্র— সেই প্রবাদবাক্যটিরই জ্বলন্ত উদাহরণ এডিথ মুরওয়ে ট্রায়ানা…
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বিশ্বের প্রবীণতম টেনিস খেলোয়াড়, ৯৭ বছরেও ছাড়েননি কোর্ট!