প্রাণীদেহ থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। এমন একটা কথা নানা জায়গায় উঠে আসছে। কখনও বাদুড়, কখনও প্যাঙ্গোলিন। এবার সেই একই ব্যাপার ঘটল মিঙ্কের ক্ষেত্রেও। এই প্রাণীটির শরীর থেকেও করোনা ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর তারপরই ১০ হাজার মিঙ্ককে হত্যার সিদ্ধান্ত নিল নেদারল্যান্ড সরকার।
অনেকটা বেজির মতো গড়ন এই মিঙ্কের। চরিত্রগত দিক থেকে স্তন্যপায়ী হলেও জলে, স্থলে দুই জায়গাতেই এর যাতায়াত। তবে মিঙ্কের আসল মাহাত্ম্য এর গায়ের পশমের জন্য। এই কারণেই নেদারল্যান্ডে রীতিমতো চাষ করা হয় এই প্রাণীটির। সেখান থেকেই বিপত্তি ছড়িয়েছে। মে মাসের শেষেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানায়, এই প্রাণীটির দেহ থেকে ডাচ কৃষকদের মধ্যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এছাড়াও নেদারল্যান্ড ফুড অ্যান্ড ওয়্যারস অথরিটিও এমন দশজনের সন্ধান পেয়েছে, যাঁদের করোনা হয়েছে এবং তাঁরা মিঙ্কের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
এরপরই মিঙ্ক কালিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডাচ প্রশাসন। অন্তত ১০ হাজার মিঙ্ককে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। একইসঙ্গে প্রতিবাদ শোনা গেছে পরিবেশবিদ ও পশুপ্রেমীদের মধ্যেও। তাঁদের বক্তব্য, শুধুমাত্র মূল্যবান সুন্দর পশমের জন্য মিঙ্ক চাষ ও মিঙ্ক হত্যা আগে বন্ধ হোক। বিশ্বের নানা জায়গায় এই পশম রপ্তানি করা হয়। নেদারল্যান্ডের অন্যতম বাণিজ্য এটি। এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পশুপ্রেমীরা। ২০১৩ সালেই সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৪-এর মধ্যে সমস্ত মিঙ্ক ফার্ম বন্ধ করা হবে। সেটা কবে পূর্ণতা পাবে, সেই দিকেই তাকিয়ে পরিবেশবিদরা। আপাতত মিঙ্কের ‘করোনা’ যোগ নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে সবার।
Powered by Froala Editor