এক ক্লিকেই ঠাকুর দেখা, আজ উত্তর কলকাতা

১। কুমোরটুলি সর্বজনীন

এবার এই পুজো পদার্পণ করল ৮৯ বছরে। বিষয় ‘কল্পতরু’।  অর্থাৎ যার কাছে এসে নিজের মনের কথা জানালে সেই মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সমগ্র মণ্ডপে গাছের নানা মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে। মণ্ডপ পরিকল্পনা ও রূপায়ণে রয়েছেন বাপ্পা হালদার এবং মনোজ বারুই। প্রতি বছরের মতো এবারেও প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল। কল্পজগতের মায়াময় এক আদল ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিমা তৈরিতে।

আরও দেখুন
দক্ষিণ কলকাতার পুজো

২। কুমোরটুলি পার্ক সর্বজনীন

এই পুজোর বয়স বেশি নয়, মাত্র ২৭ বছরে পদার্পণ করল এই পুজো। এবারের বিষয় ‘ওদের উঁকিঝুঁকি’। কারা ওরা?  ওরা হল ভিনগ্রহের প্রাণী। আমাদের জগতে ওরা এসেছে এই উৎসবকে প্রত্যক্ষ করতে। মণ্ডপে প্রবেশের মুখেই প্রকাণ্ড মহাকাশযান৷ মণ্ডপের ভেতরে দেখা মিলছে ভিন গ্রহের প্রাণীদের। সমগ্র মণ্ডপ রূপায়ণে শিল্পী চন্দন এবং প্রতিমা নির্মাণে শিল্পী নব।

৩। আহিরীটোলা সর্বজনীন

এটি পুজোর ৮০ তম বর্ষ। আহিরীটোলা সর্বজনীনের এবারের বিষয় ‘অজান্তে’। মূল পোস্টারে দেখা যাচ্ছে একটি ক্যাপশন ‘কেন হারাচ্ছে সব বাড়াচ্ছে ভিড় হারানোর তালিকায়’। ভাবনায় শিল্পী তন্ময় চক্রবর্তী। মণ্ডপটি সেজে উঠেছে প্রাচীন টেরাকোটা মণ্ডপের আদলে৷ মণ্ডপের গায়ে অসংখ্য ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে, যাতে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। প্রতিমাটিও প্রাচীন ক্ষয় হয়ে যাওয়া দুর্গামূর্তির অনুকরণে নির্মিত হয়েছে।

৪। আহিরীটোলা যুবকবৃন্দ

এবার আহিরীটোলা যুবকবৃন্দের পুজো পদার্পণ করল ৪৯ বছরে। এদের এবারের বিষয় ‘ধূসর ধরণী’। পৃথিবীর দূষণ অসুররূপে নানাভাবে আক্রান্ত করছে মানুষকে। কিন্তু দেবী পৃথিবীকে রক্ষা করছেন। তিনি এখানে সন্তান সহ নৌকোয় অধিষ্ঠিতা। মণ্ডপে আকাশপথ, মেঘ এসমস্তই আরও আকর্ষণীয় হয়েছে আলোর খেলায়। শিল্পী পরিমল পালের ছোঁয়ায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

৫। হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সর্বজনীন

শিল্পী অঙ্কুশ চৌধুরীর নির্মাণে গড়ে উঠছে হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সর্বজনীনের অভিনব মণ্ডপ৷ এদের এবারের বিষয় ‘আমায় দেখে লুকায় যারা, লুকায় তারা পৃথিবী থেকে’।  কন্যাভ্রূণ হত্যা বন্ধ করার পক্ষেই এই অভিনব বিষয়। মণ্ডপটি শিশু ভ্রূণের নানা উপস্থাপনায় সেজে উঠেছে৷ প্রতিমা নির্মাণে রয়েছেন স্বপন পাল। দেবীমূর্তির মধ্যে ফুটে উঠেছে মাতৃভাব। রক্তবর্ণ বস্ত্রে তিনি আমাদের গৃহের জননী হয়ে উঠেছেন।

৬। নলিন সরকার স্ট্রিট

থিমের চমকে প্রতিবছর তাক লাগিয়ে দেয় উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রিট। এবারেও তাদের অভিনব বিষয় ‘কর্মই ধর্ম’। সাম্প্রতিককালে ধর্ম নিয়ে হিংসা এক ভয়াবহ বিষয়।  এর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমন্বয় দেখিয়েছে নলিন সরকার স্ট্রিট। মণ্ডপ সজ্জায় পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক। প্রতিমা নির্মাণে রয়েছেন সৈকত বসু। সমগ্র পরিকল্পনায় মানস দাস।

৭। হাতিবাগান নবীন পল্লী

৮৬তম বর্ষে পদার্পণ করল হাতিবাগানের নবীনপল্লী৷ এবারের বিষয় ‘লাইফলাইন’। প্রকৃতির এই সংকটে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। দেবী এখানে প্রকৃতিস্বরূপা। মণ্ডপে সবুজের ব্যবহার রয়েছে নানাভাবে। রয়েছে প্রকৃতির নানা উপকরণের ব্যবহার। ভাবনা এবং রূপায়ণে সুবল পাল।

৮। সিকদার বাগান

এবার সিকদার বাগানের পুজো পড়ল ১০৭তম বর্ষে। ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর এবছরের বিষয় ভাবনা ‘যত্নে রাখো রত্ন পাবে’। এই ভাবনার আধারে জল সংরক্ষণের কথাই তুলে ধরেছেন শিল্পীরা। কল থেকে অনবরত জল পড়ে অপচয় হওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে এখানে। সৃজনে শিল্পী অরিন্দম এবং অভিজিৎ। প্রতিমার চালচিত্র আর আলোকসজ্জাতেও নীল এবং সবুজ রঙের প্রয়োগ ঘটেছে এখানে।

৯। কাশী বোস লেন

এদের এবারের বিষয় ‘অস্তিত্ব’। ৮২তম বর্ষে কাশী বোস লেনের পুজোমণ্ডপে রইল জল সংরক্ষণের বার্তা। শিল্পী প্রদীপ দাসের ভাবনায় বিভিন্ন ধাতব অলঙ্করণে সেজে উঠেছে মণ্ডপ।  রয়েছে বৃহৎ শহরের ক্ষুদ্র সংস্করণ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে জলের অপচয় যেন বন্ধ হয়, এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রতিমা সজ্জায় রয়েছে অভিনবত্ব, নানা রঙিন অলঙ্করণের ব্যবহার।

১০। হাতিবাগান সর্বজনীন

এদের এবারের বিষয় ‘অস্তিত্ব’। ৮২তম বর্ষে কাশী বোস লেনের পুজোমণ্ডপে রইল জল সংরক্ষণের বার্তা। শিল্পী প্রদীপ দাসের ভাবনায় বিভিন্ন ধাতব অলঙ্করণে সেজে উঠেছে মণ্ডপ।  রয়েছে বৃহৎ শহরের ক্ষুদ্র সংস্করণ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে জলের অপচয় যেন বন্ধ হয়, এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রতিমা সজ্জায় রয়েছে অভিনবত্ব, নানা রঙিন অলঙ্করণের ব্যবহার।