এই করোনার লড়াইয়ে অন্যতম যোদ্ধা তাঁরা। তবে সামনে থেকে লড়াই করা তাঁদের কাজ না। তাঁরা ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ করেন। হ্যাঁ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট। মেডিক্যাল কলেজে এবার করোনা থাবা বসাল তাঁদের ওপরেই। ঘটনার জেরে বন্ধ হল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব-ও।
আজ সকাল থেকেই মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করাতে গিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হন সাধারণ মানুষ। অনেককেই ফিরে যেতে হয়। তাঁদের বলা হয়, যন্ত্রাদি খারাপ হওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে টেস্ট। তবে কবে থেকে চালু হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ টেস্ট করাতে আসা মানুষদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে করোনার হানা বেশ বড়-সড় ধাক্কা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। ল্যাবরেটরি বন্ধ হওয়ায় বেশ খানিকটা কমবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। যেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে পজিটিভিটির হার। রাজ্য চাইছে প্রতিনিয়তই টেস্ট বাড়াতে। সেখানে একটি মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের বসে যাওয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। দ্রুত সম্পূর্ণ ল্যাব স্যানিটাইজ করে ফেরানো হবে কাজে, আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কীভাবে এই সংক্রমণ সে ব্যাপারেও।
অন্যদিকে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যার কারণে বেশ খানিকটা কমেছে সুস্থতার হার। যে কথা ভেবেই এবার আরও একটি হাসপাতাল এগিয়ে এল করোনা চিকিৎসার জন্য। কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি এবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজেও করোনার চিকিৎসা হবে সামনের সপ্তাহ থেকেই। সোমবার রোগকল্যান সমিতির জরুরী বৈঠকে হাসপাতাল কোভিড-১৯ ওয়ার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। থাকবে ১১০ টি শয্যা। এনআরএসের পরিচালন বোর্ডের সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্য সরকার এবং চিকিৎসকরাও। তাঁরা আশাবাদী কমবে মৃত্যুর হার। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে পরিকাঠামো গঠনের। থাকবে চারটি সিসিইউ শয্যার ব্যবস্থাও।
Powered by Froala Editor