করোনাভাইরাসের জেরে সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে অর্থনীতি। বাদ পড়েনি বিশ্বের অন্যতম বড়ো অর্থনৈতিক ক্ষেত্র আমেরিকাও। প্রবল হারে বেকারত্বের হার বেড়েছে সেই দেশে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, গত সপ্তাহে আরও প্রায় ১৩ লক্ষ আমেরিকান নিজেদের বেকার বলে দাবি করে সরকারি ‘বেকার ভাতা’র শরণাপন্ন হয়েছেন।
মহামারী সময় বেকার ভাতা হিসেবে বেকারত্ব বীমার অধীনে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল মার্কিন সরকার। কিন্তু সকলেই সেই বীমার টাকা এখন অবধি পায়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে।
মার্চ মাসে আমেরিকায় সম্পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করায় এক লাফে বেকারত্ব বেড়ে যায় অনেকখানি। মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রায় ৬০ লক্ষ বেকারত্বের তথ্য মেলে সেই দেশে। যদিও পুনরায় মে মাসে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাটডাউন উঠিয়ে নেওয়া হলে কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরেছিল অর্থনীতি। জুন মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ লোক কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছিল বলে জানানো হয়েছে মার্কিন সরকারের তরফে।
কিন্তু পরে আবার প্রবল হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্যালিফর্নিয়া, টেক্সাস এবং অ্যারিজোনা সহ কিছু অঞ্চলে কিছুটা ছাড় দেওয়া জারি থাকলেও রেস্তোরাঁ, বার এবং জিমের মতো জায়গাগুলিতে অর্থনৈতিক কাজকর্ম পুনরায় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জুন মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ আমেরিকান এখনও বেকার, যাঁদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ ইতিমধ্যেই কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অবশ্য ছোটো ব্যবসায়ীদের অবস্থা হয়েছে আরও খারাপ। বিভিন্ন ঘরোয়া পরিষেবা প্রদানের ব্যবসা অথবা ডেলিভারি সার্ভিসে নিযুক্ত কর্মচারীরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি এই বেকারত্ব ভাতার টাকা পেতে অনেক কাঠখড়ও পোড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, কেউ কেউ বলেই ফেলছেন শত্রুরও যেন এই অবস্থা না হয়!
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনায় আক্রান্ত জেলবন্দি কবি ভারভারা রাও, বাড়ছে দুশ্চিন্তা