লকডাউনের ফলে স্কুল বন্ধ দীর্ঘদিন। এমনকি লাইব্রেরিতে গিয়ে পছন্দের বই বেছে নেওয়ারও সুযোগ নেই। একটি ক্ষুদে পড়ুয়া তাই তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। যেন তার অবস্থার দিকে ঈশ্বরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। আর ঠিক সেই সময় আকাশ থেকে নেমে এল কিছু বই। না, ঈশ্বর নন। এই বই পাঠিয়েছেন ভার্জিনিয়ার মন্টগোমারি জেলার একজন লাইব্রেরিয়ান, কেলি পাসেক। আর সেই বই বয়ে নিয়ে এসেছে গুগল উইংয়ের ড্রোন। লকডাউনে গৃহবন্দি পড়ুয়াদের কাছে বই পৌঁছে দিতে ড্রোনকেই বেছে নিয়েছেন কেলি।
বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করার কাজে ড্রোনের ব্যবহার অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল আমাজন কোম্পানি। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের একটি শহরে এই ড্রোন পরিষেবা চালু করেছিল ডমিনোজ। আর করোনা বিধ্বস্ত ২০২০ সালে ড্রোনের নানারকম ব্যবহার চোখে পড়েছে। কেউ দুঃস্থ মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে তো কেউ নিজের পোষ্যকে বেরিয়ে আনার জন্য ড্রোন ব্যবহার করেছেন। কিন্তু লাইব্রেরির বই পৌঁছে দিতে ড্রোনের ব্যবহার এই প্রথম।
লকডাউনের ফলে গৃহবন্দি মানুষদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতে কিছুদিন আগেই এগিয়ে এসেছিল 'উইং'। কোনরকম শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়াই বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরেছিল তারা। আর এইভাবে 'উইং' পৌঁছে গিয়েছিল কেলি পাসেকের কাছেও। এরপর পরবর্তী পরিকল্পনার জন্য বেশি সময় লাগেনি। কেলির এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়াতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন উইংএর কর্ণধার কেইথ হেইডে। ভার্জিনিয়া অঞ্চলের ৬০০ কচিকাঁচার হাতে তাঁরা বই পৌঁছে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অনেক বইপ্রিয় পড়ুয়া হাতে বই পেয়ে খুশি হবে বলে আশাবাদী কেলি নিজেও। পাশাপাশি তিনি মনে করছেন, যেসব পড়ুয়া সেভাবে বইয়ের প্রতি আগ্রহী নয়, তাদের মধ্যেও আগ্রহের সঞ্চার করবে এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। সেইসঙ্গে পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তেই লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কেলি।
আরও পড়ুন
লকডাউনে বিপর্যস্ত মানুষকে সাহায্য করতে কন্যাশ্রীর সমস্ত টাকা খরচ কিশোরীর
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
শিশুশ্রমিকদের নিয়ে তৈরি স্কুল, লকডাউনের দীর্ঘ ছুটিতে কেমন আছে তারা?