দুই বাংলার সাহিত্য জগতে আবারও নেমে এল কালো ছায়া। দীর্ঘ অসুস্থতার পর, আজ বিকেলে মারা গেলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি ডঃ আনিসুজ্জামান। ঢাকার কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
ডঃ আনিসুজ্জামান জন্মেছিলেন এপার বাংলাতেই, চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে। পরে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার দায়িত্বও সামলান। তবে এখানেই থেমে যায় না তাঁর পরিচয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। জাতীয় শিক্ষা কমিশনের প্রথম দিকের সদস্যও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় প্ল্যানিং কমিশনেরও সদস্য ছিলেন। দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় তিনি বক্তৃতা দিয়েছেম। তাঁর নামও সর্বত্র গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়।
সেই সঙ্গে অবশ্যই জড়িয়ে আছে তাঁর সাহিত্যচর্চা। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তাঁর গবেষণা ও প্রবন্ধ আজও আলোচিত। তাঁর প্রবন্ধের পরিসর ছড়িয়ে আছে নানা দিকে। সম্মানও পেয়েছেন নানা জায়গা থেকে। বাংলাদেশে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তো আছেই। সেই সঙ্গে ভারতেও তিনি পদ্মভূষণ, দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও সম্মান পান তিনি। সব মিলিয়ে দুই বাংলার মানুষের কাছেই তিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয় এক ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন। তাঁর মৃত্যু বাংলা সাহিত্য জগতের অপরিসীম ক্ষতি।