ধ্বংস থেকে মাত্র ‘১০০ সেকেন্ড’ দূরে মানবসভ্যতা! ডুমসডে ক্লকের হিসাবে চাঞ্চল্য

মানবসভ্যতার অন্তিম সময় যে ঘনিয়ে এসেছে, সেটা নানা ভাবেই বোঝা যাচ্ছে। তবে সেই মহাপ্রলয়ের থেকে আর কত দূরে আমরা, সেই উত্তর স্পষ্ট করে দেওয়া কঠিন। হঠাৎ যদি শোনেন, আর মাত্র ১০০ সেকেন্ড বাকি! অবাক হবেন নিশ্চই! না, এই পরিমাপ আসলে প্রতীকি। যদিও সারা পৃথিবীর পরমাণু বিশেষজ্ঞদের নিয়েই তৈরি এই প্রতীকি ঘড়ি, যার নাম ডুমসডে ক্লক। আর সম্প্রতি সেই ঘড়ির হিসাব জানাচ্ছে, মহাপ্রলয়ের থেকে আর মাত্র ১০০ সেকেন্ড দূরে আছে পৃথিবী।

গতবছরেও ডুমসডে ক্লক জানিয়েছিল, আর ঠিক ১০০ সেকেন্ড দেরি। এই ১ বছরে সেই হিসাব বদলায়নি। আসলে এই একবছরে যেমন করোনা অতিমারীর মতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তেমনই পরিবেশ রক্ষায় ও দূষণ প্রতিরোধে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ চোখে পড়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি বা অবনতি কোনোটাই হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

১৯৪৭ সালে, অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরেই তৈরি করা হয় এই সাংকেতিক ঘড়ি। বিজ্ঞানীদের মধ্যেও যে সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে, সেকথা প্রচার করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। তখন ঘড়ির কাঁটাটিকে মধ্যরাত্রি থেকে ৭ মিনিট দূরে রাখা হয়। এর মধ্যে ১৪ বার ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে গিয়েছে। ১৯৯১ সালে দূরত্ব ছিল সর্বাধিক। ১৭ মিনিট। কিন্তু এর পর থেকে নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনার প্রভাবে কাঁটা ক্রমশ এগিয়েই চলেছে।

অবশ্য ১৯৫০-এর দশকের পর ঘড়ি এত নিকটবর্তী সংকেত আগে কখনও দেয়নি। তাছাড়া তখন রাশিয়া ও আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত অশান্তিতে সারা পৃথিবী ছিল আতঙ্কিত। এখনও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে গোপনে গোপনে। তবে বিজ্ঞানীরা প্রতি বছরই ভাবেন, পরের বছর হয়তো ঘড়ির কাঁটা দূরে সরে যাবে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হয় না।

আরও পড়ুন
কীভাবে ধ্বংস হয় একটি তারা? রহস্যভেদ আইআইটি গুয়াহাটির বিজ্ঞানীদের

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
অরণ্য ধ্বংস করে ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প, প্রতিবাদে একজোট থাইল্যান্ডের বাসিন্দারা