এখনও অবধি যুক্তরাষ্ট্রের চার রাষ্ট্রপতি পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্মাননা। শেষ ২০০৯ সালে যা উঠেছিল বারাক ওবামার হাতে। তবে এবার কি সেই সংখ্যাই চার থেকে পাঁচ হতে চলেছে? তাই নিয়েই শুরু হল জল্পনা। কারণ রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে ইতিমধ্যেই জমা পড়ল নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নপত্র।
বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান সংসদের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেজেডে তাঁর নামে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কয়েক সপ্তাহ আগেই হস্তক্ষেপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরেই কি বেছে নেওয়া তাঁর নাম?
নরওয়ের চার বারের সাংসদ এবং ন্যাটোর নরওয়েজিয় প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যান ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং বলছেন, ট্রাম্পের এই ভূমিকা পাল্টে দেবে মধ্যপ্রাচ্যকে। মধ্যপ্রাচ্যের উন্নতদেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে অনুসরণ করবে অন্যান্য দেশগুলি। ফলে গড়ে উঠবে শান্তি এবং সমঝোতার একটা জায়গা। দ্বন্দ্ব ভুলে সমৃদ্ধ হবে মধ্যপ্রাচ্য। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের প্রশংসাও করেন টাইব্রিং।
পাশাপাশিই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব, দুই কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ এবং পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও দক্ষিণ চিন সাগরে নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়ার কথাও তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন টাইব্রিং। তাঁর মতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনটে প্রধান শর্তকেই পুরোপুরি চতিরার্থ করেছেন ট্রাম্প।
এই ঘটনার পরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে অজস্র প্রশ্ন তো ছিলই। অভিযোগ ছিল বৈষম্যভিত্তিক হিংসায় তাঁর নীরব থাকা নিয়েও। খোদ আমেরিকাতেই হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন নাগরিকরা। লুকোতে হয়েছিল বাঙ্কারেও। যুদ্ধতে পরোক্ষভাবে মদত দেওয়া নিয়েও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অনেক আন্তর্জাতিক নেতা। এতকিছুর পরেও শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নামে মনোনয়নে অনেকটাই বিস্মিত বিশ্ববাসী...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আবার রাজ্যভিত্তিক লকডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র, স্কুল বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প