লকডাউনের জেরে বন্দি হয়ে ঘরে বসে আছেন। সঙ্গে রয়েছে পরিবার। এই কটাদিন কাজের ব্যস্ততা সরিয়ে একটু তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানোর ভাবনাই হয়তো ভাবছেন অনেকে। কিন্তু ফ্রান্সের সাম্প্রতিক একটি সমস্যা এই পারিবারিক সুখী ফ্রেমটির সামনেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। সেখানকার রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনের সময় পরিবারে অশান্তি, গৃহ বিবাদের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে!
আরও পড়ুন
করোনায় না হলেও আর্থিক দুরবস্থায় মৃত্যু বাড়বে দেশে, জানাচ্ছেন ডঃ জয়জিৎ ভট্টাচার্য
ফ্রান্সের প্রশাসন সূত্রেই এমন রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে করোনার জন্য তাঁরা লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চলবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনা নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। এরই মধ্যে নতুন করে গৃহ বিবাদের ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে সরকারকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে এই কদিনে অশান্তির ঘটনা ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। একা প্যারিসেই এই সংখ্যাটি ৩৬ শতাংশ বেড়েছে! পুলিশে রিপোর্টও বেড়েছে একইভাবে। সবকিছু নিয়ে অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ।
আরও পড়ুন
ছেঁড়া রেনকোট-হেলমেট পরেই করোনার সঙ্গে লড়াই চিকিৎসকদের
এমনিতে পারিবারিক হেনস্থা, বিবাদের ক্ষেত্রে ইউরোপের ‘প্রথম সারির দেশ’ হল ফ্রান্স। রিপোর্টও অনেক বেশি অন্যান্য দেশের তুলনায়। হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর গড়ে দুই লাখেরও বেশি মানুষ এমন ঘটনার মধ্যে দিয়ে যান। রিপোর্ট জমা পড়ে আরও কম। আর এসব ক্ষেত্রে বেশি অত্যাচারিত হন মেয়েরা। ইতিমধ্যেই শুধু পারিবারিক হেনস্থার ঘটনার জন্য হেল্পলাইন নাম্বার চালু হয়েছে ফ্রান্সে। এই সমস্যা যাতে শেষ হয়, সবাই যাতে সুস্থভাবে, সুখী হয়ে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটায়, সেটারই আশায় সবাই।