রক্তকোষের গন্ধ শুঁকেই কুকুর সনাক্ত করে ফেলছে ক্যানসার। প্রয়োজন পড়ছে না অর্থবহুল হাজারো পরীক্ষার। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এমনটাই বলছেন হিদার জানকুইরার মতো গবেষকরা। তাঁদের গবেষণায় নাকি দেখা গেছে, রক্তকোষের গন্ধ শুঁকে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্যানসার-আক্রান্তদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরেরা। শুধু তাই নয়, ক্যানসার নির্ণয়ের অন্যান্য পরীক্ষার থেকে অনেক দ্রুতই ক্যানসারকে চিহ্নিত করতে পারছে এই চারপেয়েরা।
তবে, এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের। এমনিতে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের থেকে ১০,০০০ গুণ শক্তিশালী ও উন্নত। এরইসঙ্গে প্রশিক্ষণ যুক্ত হলেই যে ক্যানসার নির্ণয়ের মতো ঘটনাকেও সম্ভব করে তোলা যায়, তাই দেখাচ্ছেন জানকুইরা এবং তাঁর টিমের সদস্যরা। তাঁরা প্রথমে ৪টি ল্যাব্রাডরকে নিরোগ, স্বাভাবিক মানুষের রক্ত এবং ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের রক্তের মধ্যে পার্থক্য চিনতে শিখিয়েছিলেন। এই চারটি কুকুরের মধ্যে একজনের মর্জি হয়নি গন্ধ শুঁকে ক্যানসার নির্ণয় করার। কিন্তু বাকি ৩ জন সেই কাজ দিব্বি করেছে, এবং করেছে অভাবনীয় সাফল্যের সঙ্গেই। ক্রমে আরও বেশ কিছু কুকুরের ক্ষেত্রেও একই প্রশিক্ষণে সাফল্য পেয়েছেন জানকুইরা এবং তাঁর টিম। এখন, ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও স্তন ক্যানসারও ধরে ফেলতে পারছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬টি কুকুর।
হিদার জানকুইরা জানিয়েছেন, দ্রুতই প্রস্টেট, কোলোরেক্টাল এবং মেলানমার ক্যানসারও নির্ণয় করতে পারবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চারপেয়ের দল।