শেখার কোনো বয়স হয় না। এই প্রবাদবাক্যে যে এতটুকুও ফাঁক নেই কোথাও তাই প্রমাণ করে দিলেন তিরুচির চিকিৎসক। কলেজের পড়াশোনা শেষ হয়েছিল প্রায় ৬০ বছর আগে। তারপরই সম্পর্ক শেষ অ্যাকাডেমিক জীবনের সঙ্গে। তবে কিছুদিন আগে থেকে আবার নতুন উদ্যোমে শুরু করেছিলেন পড়াশোনার রেওয়াজ। আর সেই সুবাদেই ৮১ বছর বয়সে এসে প্রকাশিত হল গবেষণাপত্র। শেষ বয়সে এসে পিএইচডি করেই চমক লাগালেন ডঃ জি. গণপতি।
মেডিক্যাল কলেজের পড়াশোনা শেষ করেই সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ নিয়েছিলেন জি. গণপতি। চিকিৎসা করেছেন প্রায় ৪০ বছর। ১৯৯৭ সালে অবসরগ্রহণের পর তিরুচির থাল্লাই নগরে খুলেছিলেন নিজস্ব ক্লিনিক। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এই ৬০ বছরের চিকিৎসা জীবনে প্রচুর মহিলাকে দেখেছেন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে। কিন্তু কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই মারণ রোগকে? এই চিন্তাই ভাবিয়ে তুলেছিল বৃদ্ধ চিকিৎসককে।
হাল ছাড়লেন না। বরং নতুন করে নাম লেখালেন তিরুচি এনআইটিতে। গবেষণায়। বিষয়বস্তু হল সেই স্তন ক্যানসারই। গত শনিবার এনআইট-তিরুচি থেকেই অর্জন করলেন পিএইচডি। একটি ভার্চুয়াল কনভোকেশনে এদিন ডিরেক্টর মিনি সাজি থমাসের উপস্থিতিতে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয় তাঁকে।
তবে চিকিৎসার গুরুদায়িত্ব সামলেও কখনও ক্লান্ত হননি গবেষণার কাজে। প্রতিদিনই নিয়ম করেই জমা দিয়েছেন অ্যাসাইনমেন্ট। তথ্য সংগ্রহ থেকে তার বিশ্লেষণে কোথাও ফাঁক থাকেনি কোনো। ডিগ্রি প্রদানের সময় এমনটাই জানালেন তাঁর গবেষণার গাইড প্রফেসর ডঃ এন. শিভাকুমারান।
অর্থসংকট হোক কিংবা বিভিন্ন প্রতিকূলতা, অনেক সময়ই পড়াশোনার ট্র্যাক থেকে ছিটকে যায় অনেক ছাত্রই। তাঁদের সকলের কাছে নতুন করে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন ডঃ গণপতি...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রতিবেশীদের বাঁচিয়ে ‘দেবদূত’ ক্যানসার-আক্রান্ত বৃদ্ধ