বিশ্ব খাদ্য সূচকে নেমেছে ভারতের স্থান। উন্নত নয় এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। বহু গ্রামে এখনও আধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়নি। শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় রুগ্ন, ভগ্ন স্বাস্থ্যের শিশুদের। তারা কেউ ভিক্ষে করে দিন কাটান, কেউ বা ছোট থেকেই মা-বাবার সাথে দিনমজুরের কাজে লেগে যান। অথচ অসুস্থ হলে দেখবার কেউ নেই, নেই তেমন টাকা-পয়সাও। একেই দুবেলার খাবার জোটে না, তারপর চিকিৎসায় খরচা হবে ভেবেই পিছিয়ে আসেন এদের বাবা-মায়েরা। সেই সমস্ত বাচ্চাদের সঠিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগঠনের জন্যই এগিয়ে এলেন চন্দ্রশেখর কুণ্ডু।
চন্দ্রশেখরবাবুর হাত ধরেই ফুটপাথ হয়ে উঠল ডিসপেনসারি। পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেড্রিয়াটিকসের কয়েকজন ডাক্তার। বিনামূল্যে চিকিৎসা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে। কিন্তু যাঁদের পথেই দিন কাটে, তাঁদের কজন সুযোগ পান সেখানে চিকিৎসা করানোর? সে-কথা মাথায় রেখেই, সার্দান এভিনিউ-এর ফুটপাথে মাসে একদিন করে চিকিৎসা শুরু হল কয়েকশো ফুটপাথবাসী ছেলেমেয়েদের।
শুরুর ক্ষেত্র সীমিত হলেও, একদিন ঠিকই সারা শহরে ছড়িয়ে যাবে এই উদ্যোগ। যেতেই হবে। কেননা, ভালো কাজ কখনও ছোট গণ্ডিতে আটকে থাকে না। চন্দ্রশেখরবাবুর মতো আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন আগামী দিনে। কলকাতায়, বাংলায়, গোটা উপমহাদেশেই। আরও খানিক নীরোগ হয়ে উঠবে তৃতীয় বিশ্ব। এমন স্বপ্ন তো আমরা দেখতেই পারি, তাই না?