দীর্ঘ গবেষণায় মিলল সাফল্য, ডারউইনের জাহাজের অন্তিম ডকের হদিশ ইংল্যান্ডে

দেখলে মনে হবে আস্ত একটা কাদা-জমি। বাস্তবিকই তাই, নদীর পাশেই এই জায়গাটার সম্পর্কে কারোরই কোনো উৎসাহ নেই। আর সেখানেই ইতিহাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেলেন গবেষকরা। সামান্য একটা কর্দমাক্ত জায়গা ঘিরে শুরু হল তোড়জোড়। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল অভিযোজনের যাত্রা! স্পষ্ট করে বললে, চার্লস ডারউইনের জাহাজ এখানেই নোঙর ফেলেছিল!

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দক্ষিণের কাউন্টি এসেক্সেই এমন আবিষ্কার করেছেন ঐতিহাসিকেরা। যে জাহাজে করে চার্লস ডারউইন বেরিয়েছিলেন গ্যালাপাগোসের উদ্দেশ্যে, সেই এইচএমএস বিগলের সঙ্গেই জুড়ে আছে এই জায়গাটি। উনবিংশ শতকে এখানেই শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছিল জাহাজটিকে— এমনই ধারণা ঐতিহাসিকদের। অবশ্য বেশ কিছু প্রমাণও নাকি পেয়েছেন তাঁরা। বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে, মাসের পর মাস ওই জায়গাটিতে গবেষণা করে এই ধারণা করছেন তাঁরা।

এসেক্সের রচফোর্ড শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে রচ নদী। সেখানেই এক কোণে রয়েছে বিস্তৃত এই কাদা-জমি। ঐতিহাসিকরা বলছেন, এখানেই একটা সময় ছিল রচফোর্ড ডক। ১৮৩১ থেকে ১৮৩৬— এর মধ্যে ডারউইন এইচএমএস বিগলে করে রওনা দিয়েছিলেন। যার পরেই অভিযোজন সংক্রান্ত তাঁর কাজ শুরু হয়। তৈরি হয় ‘অরিজিন অফ স্পিসিস’। পরে ১৮৪৩ সালে বিগল আবার সমুদ্রে বেরোয়। তারপর ১৮৭০ সালে এসে এই রচফোর্ড ডকেই জায়গা হয় সেই ঐতিহাসিক জাহাজের। সেই ডক আজ আর নেই। কিন্তু তার কিছু অংশ তো থাকবে! গবেষকদের চেষ্টা ছিল সেটা খোঁজারই। ড্রোনের সাহায্যে প্রাচীন সেই ডকের আউটলাইনও পেয়ে যান তাঁরা। তারপর এই কাদা-জমির সন্ধান। এখানেই একটা সময় থেমেছিল ডারউইনের ঐতিহাসিক জাহাজ, ভাবতেই শিহরণ খেলে যায় না! আপাতত এই জায়গাটিকে সংরক্ষণের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসনও এই কাজে সাহায্য করছে।