এই ভারতের বুকেই এক সময় জন্ম নিয়েছিল প্রাচীন সভ্যতা। ইতিহাসের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এই দেশ। আজও নতুন নতুন নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে নানা জায়গা থেকে। তারই নতুন সংযোজন কোন্ডাভিডুর মন্দির। অন্ধ্রপ্রদেশের এই জায়গায় পাওয়া নতুন প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে ঐতিহাসিকরা উচ্ছ্বসিত।
কোন্ডাভিডু এমনিতে বেশ প্রাচীন একটি স্থান। তবে বেশি বিখ্যাত এখানকার দুর্গ। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম এই স্থানটি এক সময় রেড্ডি রাজবংশের অধীনে থাকলেও, পরে বিখ্যাত বিজয়নগরের অধীনে চলে যায় এটি। ঐতিহাসিকদের কাছে এই স্থানটির গুরুত্ব অনেক। নানা সময়, নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে এখানে। সম্প্রতি এখানেই পাওয়া গেল মন্দিরের ভগ্নাবশেষ।
ঐতিহাসিকরা বলছেন, ভগ্নাবশেষটি মূলত লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামীর মন্দির। শুধু মন্দিরই নয়, সেখানে পাওয়া গেছে তিনটি প্রাচীন ভগ্ন মূর্তি। অপেক্ষাকৃত লম্বা মূর্তিটি রেড্ডি রাজবংশের অন্যতম শাসক কাত্যেয় বর্মা রেড্ডির। আর বাকিদুটো দেবতার মূর্তি। সেই সঙ্গে একটি শিবমন্দিরেরও অবশেষ পাওয়া গেছে। এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকি। তবে মন্দিরের গঠন, সেখানকার চিত্রকলা, ভাস্কর্য যা অবশিষ্ট আছে, তা দেখে ধারণা করা যায় তখনকার শাসক সংস্কৃতি ও সাহিত্যের প্রতি যত্নশীল ছিলেন। কোন্ডাভিডু দুর্গের মতো ঐতিহাসিক স্থানে এই নতুন ইতিহাস আরও কী কী দিশা দেখায়, সেটারই অপেক্ষায় ঐতিহাসিকরা।
চিত্র ঋণ - দি হিন্দু