সমুদ্রসৈকতে তো বটেই, এমনকি সমুদ্রের জলেও প্রায়ই ভাসতে দেখা যায় প্ল্যাস্টিকজাত দ্রব্য। তা সে বাঙালির পরিচিত দীঘা-পুরী-কক্সবাজার হোক কিংবা বিদেশের কোনো সমুদ্রতট। মৎস্যজীবীদের জালেই যে গভীর সমুদ্রে কত প্ল্যাস্টিক আটকা পড়ে, তা কহতব্য নয়। এই বিষম অবস্থার প্রতিকারে এবার উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
দীঘার ঝাউবনে পিকনিক হোক কিংবা হোটেল, প্লাস্টিক পণ্য নিয়ে ধরা পড়লেই জরিমানা ৫০০ টাকা। সৈকতশহর দীঘাকে বাঁচাতে এই উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল আরও আগেই। পর্যটকরা অসচেতনতার কারণে যত্রতত্র প্ল্যাস্টিক, থার্মোকলের থালা-বাটি ইত্যাদি ফেলে যান। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা। এই নিয়ম শুধু পর্যটক নয়, ব্যবসায়ী এবং হোটেল কর্তৃপক্ষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
সম্প্রতি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামেন। মাইক হাতে একের পর এক বাজার ঘোরেন তিনি। তাঁর অভিযান চলাকালীন ধরা পড়ে অনেকেই জরিমানা দিতে হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্ল্যাস্টিকমুক্ত পরিবেশের ক্ষেত্রে দীঘা কতখানি আদর্শ হয়ে ওঠে, এটাই এখন দেখার।