কথায় বলে ধাপার মাঠ। আর কলকাতার একমাত্র পাহাড় যে এই ধাপার মাঠ, তা নিয়ে রসিকতাও কম হয়নি। বছরের পর বছর আবর্জনা স্তূপীকৃত হয়ে ছোটোখাটো মালভূমির সমান উঁচু হয়েছিল এই মাঠ। কিন্তু কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বদান্যতায় এই মাঠই হয়ে উঠল সবুজ উপত্যকা। কেএমসির উদ্যোগে একটি সাইটো-ক্যাপিং প্রোজেক্টের মাধ্যমে এই বিশাল অঞ্চল পরিণত হল সবুজ মালভূমিতে।
দিনের পর দিন শহরের আবর্জনা এখানে জমা করা হত। তা থেকে ছড়াত দুর্গন্ধ, পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ছিল এই মাঠ। প্রায় এগারো তলার সমান উঁচু আবর্জনা ভর্তি এই মাঠকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হল সবুজ উপত্যকায়। মোট ৬০ কোটি টাকা খরচা হয়েছে কাজটি সম্পূর্ণ হতে।
প্রায় বছর খানেক আগে, ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্যে এই মাঠটিকে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। প্রায় আঠারোটি ফুটবল মাঠের সমান মাটি খরচা করে প্লাস্টিকটির ওপর ঢেকে ফেলা হয়। প্রথমবার, মাঠটির ১৪.৫ হেক্টর অঞ্চলে সবুজায়ন করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ হেক্টর অঞ্চল প্রাকৃতিক উপায়ে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানা গেছে। এমনকি, স্তূপের পাশে বানানো হয়েছে নয়-দশ ফুট চওড়া রাস্তা যা দিয়ে সহজেই মালভূমিটির শীর্ষে পৌঁছানো যাবে।
এক বছরের মধ্যে যে এমন একটি এলাকা সবুজ উপত্যকায় পরিণত হবে, ভাবতে পারেননি অনেকেই। পরিবেশ সচেতনতার অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই উদ্যোগ। আশা করা যায়, আগামী দিনেও অনান্য জায়গায় এভাবেই আবর্জনা সরিয়ে গড়ে তোলা হবে সবুজ পৃথিবী।