দুর্গাপুজো হবে আর ঢাক বাজবে না, এটা কল্পনার অতীত। কিন্তু কালের নিয়মে এগোতে এগোতে, এখন দুর্গাপুজোয় ঢাকিদের সংখ্যা কমে এসেছে অনেক। তবুও দেবীপক্ষ শুরু হলেই শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ভিড় করে আসেন ঢাকিরা। সবাই মিলে বাজাতে থাকেন ঢাক। সেখান থেকেই তাঁদের বায়না নেন বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।
কিন্তু রেকর্ডেড মিউজিকের যুগে এখন অধিকাংশ পুজো কর্তৃপক্ষই আর ঢাকি ভাড়া করতে চান না। কারণ রেকর্ডেড মিউজিক সহজেই পাওয়া যায়। সে-কারণেই টানা পাঁচদিনের জন্য ঢাকের খরচ করতে চান না অনেকে।
ফলে, বছরের যে সময়টায় তাঁদের কাজ সবচেয়ে বেশি থাকার কথা, সেই সময়টাই কাজ ছাড়া থাকতে হচ্ছে ঢাকিদের।। নিজের জেলায় ঢাকিরা কম বেতনই পেতেন। তবে কলকাতার কোনো পুজোয় বাজাতে পারলে পারিশ্রমিক ভালোই জুটত তাঁদের। তবে এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কলকাতা সহ গোটা বাংলা। পরিবর্তে ঢাকির চাহিদা বেড়েছে দিল্লি, অসম ও ত্রিপুরায়। যদিও সেই সংখ্যাটাও কম।
তাই পূর্বপুরুষদের পেশা অবলম্বন করে বেঁচে থাকা একরকম কঠিনই হয়ে উঠেছে তাঁদের পক্ষে। নতুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এই পেশা থেকে। দুর্গা পুজো সকলেরই আনন্দের উৎসব। আর পুজোর অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ ঢাক বাজানোই যাঁদের জীবিকা, তাঁদের অবহেলার শিকার হওয়াটা কি খুব ভালো খবর?