জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডার শেষ হয়ে আসছে। বিকল্প জ্বালানির সন্ধান চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে কার্যক্ষমতা আর খরচের হিসাবে বেশিরভাগ বিকল্প জ্বালানিই ব্যবহারের উপযোগী নয়। তবু হাল ছাড়েননি বিজ্ঞানীরা। আর সেই কাজেই আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন জাপ ভ্যান হলের নেতৃত্বে ডেনমার্কের একদল গবেষক। সমুদ্র-শৈবালের তৈরি জ্বালানি দিয়ে তাঁরা একটি গাড়ি চালাতেও সক্ষম হয়েছেন।
প্রতি বছর পৃথিবীতে ২৫ মিলিয়ন টন সমুদ্র-শৈবালের চাষ করা হয়, যার বেশিরভাগটাই এশিয়ায়। তবে এগুলো মূলত প্রসাধন তৈরির কাজেই লাগানো হয়। কিন্তু এই সমুদ্র-শৈবাল থেকেই প্রায় পেট্রল-ডিজেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির অনুরূপ জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। আর সম্প্রতি সেই জ্বালানি দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাতেও সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
পরিবেশের কথা মাথায় রেখে, বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কমাতে জৈব-জ্বালানির উপর দিতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আখ, ভুট্টা, সোয়ার মতো জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রচুর পরিমাণ কৃষিজমির প্রয়োজন। সমুদ্র-শৈবাল থেকে জ্বালানি প্রস্তুত করা গেলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে। সমুদ্রের নিচে মাত্র দশ একর জমিতে যে পরিমাণ চাষ করা সম্ভব, স্থলভাগে তার জন্য প্রায় হাজার একর জমির প্রয়োজন।
যদিও বাস্তবে সমুদ্র-শৈবাল থেকে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি তৈরি করতে গেলে আরো অনেক জোগান বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্রো-ফুয়েল কোম্পানির বিজ্ঞানী ভ্যান হল। যদিও এই আবিষ্কার নিয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর মতে, বর্তমানে যা চাষ হয় তা দিগন্তরেখায় একটা বিন্দুর মতো।