জাদুঘর বা প্রদর্শনশালায় অনেক মানুষ গবেষণা কিংবা ইতিহাস অন্বেষণের জন্য যান। কিন্তু তার পাশাপাশিই সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে প্রদর্শনশালা একটা ঘোরবার জায়গা। তাই শীতকালে ভিড় জমে জাদুঘরে। অতীত, ইতিহাসকে দু’চোখে ছুঁয়ে দেখার মধ্যেও যে আনন্দ আছে, তার সাক্ষী হতেই মানুষ ছুটে যান মিউজিয়ামে। কিন্তু ‘আনন্দ’-ও কি সাজিয়ে রাখা থাকে সেখানে?
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন এবার তেমনটাই করে দেখাল। খুলল পৃথিবীর প্রথম ‘হ্যাপিনেস মিউজিয়াম’। মানুষকে বিভিন্ন আনন্দের মুহূর্তের সাক্ষী করে তুলতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন ড্যানিস লেখক মিক উইকিং। মানুষের বিভিন্ন সুখকর মুহূর্তের কারণ এবং তার পরবর্তী মুহূর্তদের ধরে রাখতে চেয়েছেন এই মিউজিয়ামে।
বিগত কিছু বছর ধরেই জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে বিতর্কের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠে আসছে ‘দিনযাপনের আনন্দ’। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আনন্দ উপভোগ করার রাস্তা দেখানো, চারপাশের সমস্যার মধ্যেও সমাধান খুঁজে পাওয়ার সূত্র খুঁজে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল এই উদ্যোগের। জানাচ্ছেন মিক উইলিং।
প্রায় ২৬০০ বর্গফুটের এই মিউজিয়াম ইতিমধ্যেই সাধারণের জন্য খুলে গেছে গত ১৪ জুলাই। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা ভেবেই মাত্র ৫০ জনের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দর্শকদের জন্য সেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং লাইট থেরাপির মতো ব্যবস্থাও। মিউজিয়ামের একটি ফ্লোরে সাজানো রয়েছে কিছু নগদ অর্থ ভরা মানিব্যাগ। হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরত পেয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে অনেকের সঙ্গেই। তাঁদের থেকে এই ব্যাগ সংগ্রহ করে এনে ইতিবাচক দিকটাই তুলে দিতে চাইছে এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন
ঘরে বসেই ঘুরে আসুন বিশ্ববিখ্যাত ২৫০০টি মিউজিয়ামে, প্রযুক্তির নয়া উপহার
তবে শুধু মানিব্যাগ না, ছোট-খাটো এমন হাজারও আনন্দের মুহূর্তের হদিশ দিচ্ছে কোপেনহেগেনের এই মিউজিয়াম। অধ্যায়ন করতে শেখাচ্ছেন বিভিন্ন দিক থেকে মোনালিসার হাসিকে। বিশেষত মহামারীর আবহে এই উদ্যোগ যে নতুন করে আশ্বস্ত করবে মানুষকে, তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য উইলিংয়ের লেখা বই ‘দ্য বুক অফ হাইজিঃ দ্য ড্যানিস ওয়ে টু লিভ ওয়েল’ ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল মানুষের মধ্যে। উইলিংয়ের এই নতুন উদ্যোগের অভিনবত্বেও রইল সেই ছাপই। বুঝিয়ে দিল আশাবাদী হলেই কাটিয়ে ওঠা যায় দুঃসময়কে...
আরও পড়ুন
এসেছেন রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দও, বাগবাজারে নিবেদিতার বাড়ি বদলে গেল মিউজিয়ামে
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মিউজিয়াম থেকে চুরি গেল মোনালিসা, নকল ছবি বিক্রি করে কোটিপতি আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী