রাস্তার ধারে পড়ে আছে একটি কুকুরের মৃতদেহ। কিছুদিনের মধ্যেই পচন ধরেছে শরীরে। দুর্গন্ধের জন্য পথচারী জনতা নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। মৃতদেহটির দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। অথচ একটু চেষ্টা করলেই তার সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়। একটি প্রাণকে বিদায়ের শেষ সম্মানটুকু দেওয়া যায়। দিল্লির বুকে শুরু হল তেমনই একটি চেষ্টা। একটি এনজিও-র প্রচেষ্টায় ঘিতোর্নি এলাকায় তৈরি হল কুকুরদের জন্য বিশেষ শ্মশান।
এর আগে ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই, পুনে প্রভৃতি শহরে পোষ্য প্রাণীদের জন্য শ্মশান তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। তবে দিল্লি শহরের বুকে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি মূলত পোষ্য প্রাণীদের জন্য তৈরি হয়নি। বরং রাস্তার কুকুরদের শবদেহ দাহ করাই এই শ্মশানের মূল উদ্দেশ্য। অন্তত তেমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ দিল্লির মেয়র অনামিকা।
এই শ্মশানে দুটি চুল্লির উদ্বোধন করলেন মেয়র অনামিকা। তার মধ্যে একটিতে ২৫ কেজির চেয়ে কম ওজনের কুকুরদের দাহ করা যাবে। আর অন্যটিতে দাহ করা হবে ২৫ কেজি থেকে ৫০ কেজি ওজনের কুকুরদের। দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির বেশ কিছু প্রাণী-অধিকার সংস্থা কুকুরদের মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। একাধিক সরকারি দপ্তরেও আবেদন জানিয়ছেন তাঁরা। অবশেষে শ্মশান তৈরি হওয়ায় খুশি তাঁরাও। আর এর ফলে একদিকে যেমন পথের প্রাণীদেরও উপযুক্ত সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো যাবে, তেমনই পরিবেশও সুরক্ষিত থাকবে। আর এই পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী হিসাবে এটুকু তো মানুষেরই দায়িত্ব।
Powered by Froala Editor