এই মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দশ লাখের গণ্ডি টপকেছে। এবং তা থামার নামও করছে না। আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর এবং সেসব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তো লেগেই রয়েছে। চিকিৎসক-গবেষকরাও নিজেদের মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেটুকু পরিকাঠামো রয়েছে, তার প্রয়োগ করছেন তাঁরা। ফলস্বরূপ, দ্রুত সুস্থও হচ্ছেন মানুষ। রাজধানীর দিল্লির কথাই উদাহরণ হিসেবে আনা যাক। খাতায় কলমে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়ালেও অধিকাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে গেছেন। হিসেব কষে দেখলে, সেই সংখ্যাটাও প্রায় লাখেরই আশেপাশে!
লকডাউনের ডামাডোল পেরিয়ে ভারত এখন ‘আনলক’-এর পর্যায়ে। এই ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতিতে লোকজন রাস্তায় বেরোচ্ছেন, অফিস-দোকান-বাজার খুলছেও বটে; কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে। কিন্তু করোনা কি এসব নিয়ম মানে? সে নিজের মতো মারণ থাবা ছড়িয়েই যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাসের পরিসংখ্যান ও গ্রাফের দিকে একটু নজর দিলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যত দিন গেছে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তাতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লির মতো জায়গা। কয়েক মাস আগেও মহারাষ্ট্র আর দিল্লির অবস্থা সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বেড়ে চললেও, দিল্লি অনেকটাই নিজেকে সামলে নিয়েছে। একের পর এক স্টেডিয়ামকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করে চিকিৎসা করা হয়েছে। কোথাও খামতি রাখা হয়নি। অন্তত চেষ্টাটুকু করা হয়েছে। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে…
মনে করা হয়েছিল, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়াবে। কিন্তু বাস্তবে সেই সংখ্যাটা ১ লাখ ২০ হাজারের কিছু বেশি। যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি সুস্থও হয়ে গেছেন! যা নিঃসন্দেহে করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত ভালো একটি সংবাদ। এই রকম খবরকে আশ্রয় করেই চিকিৎসকরা এগোতে চাইছেন। শুধু দিল্লিই নয়, ভারতের অনেক জায়গাতেই এমন ঘটনা ঘটছে। যদি নাগরিকরা আরেকটু বেশি সচেতন হন, তাহলে এই সংখ্যাটা আরও ভালো করা যায়। সব নিয়ে দিল্লি আবারও আশা দেখাচ্ছে গোটা ভারতকে। একটা সময় যে জায়গাটি দেশের করোনা হটস্পট ছিল, সেই জায়গারই এমন উন্নতি হলে গোটা দেশই ভালো হয়ে উঠবে শীঘ্রই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনায় আক্রান্ত দাদা স্নেহাশিস, হোম কোয়ারেন্টাইনে সৌরভ-সহ গোটা পরিবার