বিগত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের। ব্যাহত যান-চলাচল, স্বাভাবিক জনজীবন। কিন্তু এই ভারী বৃষ্টিপাতকেই যদি অন্যভাবে কাজে লাগানো যেত সভ্যতার জন্য? এবার তেমনটাই করে দেখালেন দিল্লি আইআইটির গবেষকরা (Delhi IIT)। তৈরি করে ফেললেন বিশেষ একটি যন্ত্র যা বৃষ্টিপাতকে (Raindrops) কাজে লাগিয়েই শক্তির (Electricity) যোগান দেবে।
‘লিকুইড-সলিড ইন্টারফেস ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর’। হ্যাঁ, দিল্লির গবেষকদের তৈরি অভিনব যন্ত্রটির নাম এটিই। শুনতে বেশ কঠিন লাগলেও এই যন্ত্রের কার্যপ্রণালী ততটা জটিল নয়। ট্রাইবোইলেকট্রিক এফেক্টকে কাজে লাগিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই যন্ত্র। চিরুনি এবং চুলের ঘর্ষণের ফলে যেমনভাবে স্থির তড়িৎ-আধান তৈরি করা হয়, অনেকটা তেমনভাবেই শক্তি তৈরি করবে যন্ত্রটি। যন্ত্রের মধ্যেই থাকছে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যাটারির ব্যবস্থাও।
এক্ষেত্রে গবেষকরা ন্যানো কম্পোজিট পলিমার এবং কন্ট্যাক্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করেছেন আধান তৈরির জন্য। বৃষ্টির ফোঁটা সেখানে আঘাত করলেই তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চার্জ। তবে শুধু বর্ষায় নয়, এই যন্ত্রের মাধ্যমে নদী কিংবা সমুদ্রস্রোতকে কাজে লাগিয়েও শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। আরও ভালো করে বলতে গেলে, মিষ্টি জলের থেকে লবণাক্ত জলেই এই যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বেশি। তেমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা।
অত্যন্ত সাধারণ এই যন্ত্রই কয়েক মিলিওয়াট ক্ষমতার শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম। যা সংরক্ষণ করে অনায়াসেই মেডিক্যাল সেন্সর, ঘড়ি, ডিজিটাল থার্মোমিটার, পেডোমিটার-সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস চালানো সম্ভব। জ্বালানো সম্ভব এলইডি লাইটও।
আরও পড়ুন
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে ‘রিমোট কন্ট্রোলে’ হত্যা! গল্পকেও হার মানায় যে ঘটনা
সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিল্লি আইআইটির পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নীরজ খারে এবং ন্যানোস্কেল গবেষণার বিজ্ঞানীরা। বছর দুয়েক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল এই গবেষণার কাজ। এবার সাফল্য মিলল তাঁদের। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগও স্বীকৃতি দিয়েছে দিল্লির গবেষকদের এই সাফল্যকে…
আরও পড়ুন
মোৎজার্টের সুরেই এপিলেপ্সির চিকিৎসা, অবাক করা আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বয়স ২ লক্ষ বছর; পৃথিবীর প্রাচীনতম শিল্পকীর্তির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা?