প্রশ্ন উঠছে আইনি অনুমোদন নিয়ে। কিন্তু অসহায় হাতিরা এসব আইনের ভাষা বোঝে না। তারা শুধু জানে, তাদের দীর্ঘদিনের বাসভূমি ছেড়ে এবার চলে যেতে হবে। কোথায়? সেটাও জানে না তারা। তবে ইতিমধ্যে জঙ্গল সাফ করার সব পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর শিবালিকের তরাই অঞ্চলের গাছ কেটে ফেললে তারাই বা থাকবে কোথায়?
দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক উঠছিল দেরাদুনের প্রস্তাবিত বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পকে ঘিরে। তবে তাতে আইনি কাজ কোথাও আটকে থাকেনি। নিয়ম মেনেই অনুমতি পেয়েছে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর সেই অনুমতির বলে এবার ৫ হাজার হেক্টর বিশাল বনভূমি সাফ করে ফেলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই বনভূমিকেই এতদিন অভয়ারণ্য বলে চিনতেন মানুষ। সেখানে মানুষ এবং যানবাহনের চলাফেরার উপরেও নিয়ন্ত্রণ ছিল। আর তার একমাত্র কারণ বনের মধ্যে ১০টির বেশি হাতির দলের বাস। এই পরিস্থিতিতে হাতিরা কোথায় যাবেন?
কেন্দ্রীয় পরিবেশ দপ্তর থেকে অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিবালিককে অভয়ারণ্য হিসাবে স্বীকৃতি কোনোদিনই দেওয়া হয়নি। শুধু গভর্নমেন্ট অর্ডারের ভিত্তিতে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এবার সেই অর্ডার তুলে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ খাতায় কলমে এই প্রকল্পের মধ্যে কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু হাতিরা কি সেই ভাষা বোঝে? নাকি তাদের এবার থেকে আইনের ভাষা শেখারও প্রয়োজন রয়েছে? মানুষকে যেমন পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে স্থির করতে হয়, কোন দেশে সে বাস করবে; পশুপাখিদেরও কি এবার সেই শিক্ষাই নিতে হবে? এমনই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মীরা।
Powered by Froala Editor